চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: আসানসোলের হীরাপুরে বাড়িতে ঢুকে কিশোরকে গুলি করে খুনের ঘটনায় মৃতের বাবাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। কিন্তু কী কারণে এই খুন? তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। এদিন বাড়ির ভিতর থেকে কিশোরের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলের হীরাপুর থানার চিত্রা সিনেমা হল সংলগ্ন পাঞ্জাবি পাড়ায়। দেহ উদ্ধারের পর মৃত কিশোরের বাবা ভূপিন্দর সিং কোহলানকে হীরাপুর থানার পুলিশ আটক করে শুরু করে জিজ্ঞাসাবাদ। সেই সময় ভূপিন্দর জানায়, “রাত ন’টা নাগাদ ছেলে সিঙারা ও সুজির হালুয়া খাওয়ার কথা বলেছিল। সেইমতো আমি ছেলেকে তালাবন্ধ করে রেখে চিত্রা মোড়ে যাই। জিনিস কিনে আধঘণ্টা পর বাড়ি ফিরে দেখি ছেলে স্মরণদ্বীপ গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে।” ধৃতের থেকে পাওয়া তথ্যেই সন্দেহ দানা বাঁধে তদন্তকারীদের মনে। এরপরই ছেলেকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ভূপিন্দরকে। রাতেই পুলিশ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করে একটি পিস্তল। অনুমান, ওই পিস্তলই ব্যবহার করা হয়েছিল কিশোর খুনে। নিশ্চিত হতে পুলিশ ওই পিস্তল ও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজ ও খোল ফরেনসিক পরীক্ষা করাবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, বছর ৪৫-এর ভুপিন্দর সিং কোহলান জমি কেনা বেচার ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রী কয়েকবছর আগে আগে মারা গিয়েছেন। পৈত্রিক বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে একাই থাকত সে। মৃত স্মরণদ্বীপ সিং গুরুনানক বয়েজ হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত। দিব্যি চলছিল বাবা-ছেলের সংসার। তাহলে কেন ছেলেকে খুনের সিদ্ধান্ত? তবে কী বাবার জীবনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্মরণদ্বীপ? খুনে ব্যবহৃত পিস্তলটিই বা এল কোথা থেকে? এখন এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.