অর্ণব দাস, বারাসত: ফের নিজের বাড়িতেই খুন একাকী প্রৌঢ়া। সোমবার রাতে ঘরের ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বারাসত পুলিশ। জানা গিয়েছে, খুনের পরই অভিযুক্তরা লাউহাটির একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে গিয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন। যদিও তাতে শেষরক্ষা হল না। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, নেশার টাকা জোগার করতেই বৃদ্ধার বাড়িতে লুটপাট করতে গিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। বাধা দেওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম শর্মিষ্ঠা মুন্সি (৬২)। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে একাই থাকতেন তিনি। শর্মিষ্ঠাদেবীর মেয়ে-জামাই কিছুটা দূরে থাকতেন। পাশে অবশ্য এক আত্মীয়র বাড়ি ছিল। সোমবার রাত থেকে বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি শর্মিষ্ঠাদেবীকে। ফোনেও সারাদিন মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি মেয়ে। এর পরই পাশের বাড়িতে থাকা আত্মীয়কে খোঁজ নিতে বলেন মেয়ে।
মৃতার আত্মীয় জানিয়েছেন, বাড়ির বারান্দায় খবরের কাগজ পড়েছিল। কিন্তু শর্মিষ্ঠাদেবীকে দেখা মেলেনি। বারবার ডাকাডাকি সত্ত্বেও তিনি ঘরের বাইরে বের হননি। এর পরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে দেখে, বাড়ির পিছনের একটি দরজা ভাঙা। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থা পড়ে রয়েছেন শর্মিষ্ঠাদেবী। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, লুঠে বাঁধা দেওয়াতেই খুন হতে হয়েছে ওই প্রৌঢ়াকে। মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে এলাকার দুই যুবক নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি ছিলেন। সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছিল তারা। আবার সোমবার রাতে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।
সন্দেহ হওয়ায় দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয়। ধৃতরা হলেন রাজ চক্রবর্তী ও রথীন পোদ্দার। জানা গিয়েছে, নেশাগ্রস্ত দুজনই। তারা টাকা জোগার করতেই বৃদ্ধার একা থাকার সুযোগ নিতে গিয়েছিলেন। বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাধা দেওয়ায় ধস্তাধস্তি হয়। সেই সময় তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। মৃত্যু হয় মহিলার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.