নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: আটদিন নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশী দম্পতির তৎপরতায় বাড়ি ফিরলেন এক প্রৌঢ়৷ অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজন যুবকের পাল্লায় পড়ে টাকাপয়সা খোয়া গিয়েছিল ওই প্রৌঢ়ের৷ তারাপীঠ থেকে পুজো দিয়ে ফেরার পথে রামপুরহাট স্টেশনে তাঁকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন প্রতিবেশী দম্পতি৷ এরপরই প্রৌঢ়কে বাড়ি নিয়ে আসেন তাঁরা৷ প্রৌঢ়ের পরিজনদের দাবি, মা তারার কৃপাতেই নাকি বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি৷
দিনমজুরের কাজ করেই দিন চলত বনগাঁর দীনবন্ধু নগরের বাসিন্দা সঞ্জীবন সরকারের৷ গত ৬ ডিসেম্বর দিনমজুরির কাজেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিন আর বাড়ি ফেরেননি প্রৌঢ়। রাত গড়িয়ে পরেরদিন সকালেও বাড়ি ফেরেননি তিনি৷ চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁর পরিজনেরা৷ এলাকায় খোঁজখবর শুরু হয়৷ কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছেও যান প্রৌঢ়র পরিজনেরা। নিখোঁজ ডায়েরি করেন৷ তবে খোঁজ মেলেনি প্রৌঢ়ের। এভাবেই কেটে যায় আটদিন। পুলিশে জানিয়েও লাভ না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন প্রৌঢ়ের পরিজনেরা৷ আর হয়তো খোঁজ পাওয়া যাবে না তাঁর, এই ভেবে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রৌঢ়ের সন্তানেরা। ইতিমধ্যেই স্বপন বসু নামে এলাকারই এক বাসিন্দা তারাপীঠ মন্দিরে যান। পুজো দিয়ে ফেরার সময় রামপুরহাট স্টেশনে সঞ্জীবনবাবুকে দেখতে পান তিনি। কাছে যেতেই প্রতিবেশীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই প্রৌঢ়। বাড়ি যেতে চান বলেও জানান তিনি। সেই মতো বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে৷
কিন্তু কীভাবে এমন অচেনা, অজানা জায়গায় চলে এলেন সঞ্জীবনবাবু? এই প্রশ্ন প্রতিবেশী এবং পরিজনদের মনে মাথাচাড়া দেয়। প্রশ্নের উত্তরে ওই প্রৌঢ় জানান, কাজ থেকে ফেরার সময় ৬ ডিসেম্বর বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক তাঁকে ঘিরে ধরে। দিনমজুরির টাকাপয়সা কেড়ে নেয় তারা। এরপর জোর করে ভয়ে দেখিয়ে ট্রেনে চাপিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। পথ ভুলে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। রামপুরহাট স্টেশনই হয়ে যায় তাঁর ঠিকানা৷ অবশেষে প্রতিবেশী দম্পতির সাহায্যেই বাড়ি ফেরায় উৎকন্ঠার অবসান হল সরকার পরিবারে৷ দুশ্চিন্তার প্রহর কেটে এখন প্রৌঢ়ের পরিবারে বইছে খুশির হাওয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.