সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: রাষ্ট্রায়ত্ব তেল সংস্থায় তেল সরবরাহ ঘিরে তৈরি হল জটিলতা। সরবরাহ বন্ধ করে দিল দুর্গাপুরের কাঁকসার ট্যাঙ্কার মালিকদের সংগঠন৷ যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। পরে অবশ্য মালিকরা সিদ্ধান্ত বদল করে পরিষেবা স্বাভাবিক করলেও, সমস্যা জিইয়ে থাকায় ভবিষ্যতেও বাধা পাওয়ার আশঙ্কা থাকছেই৷
কাঁকসার রাজবাঁধে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ব তেল সংস্থার টার্মিনাল ও ডিপো রয়েছে। রাজবাঁধ ট্যাঙ্ক ও ট্যাঙ্কার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন – এই তিন সংস্থা থেকেই তেল সরবরাহ করা হয় বিভিন্ন জেলায়। সম্প্রতি একটি তেল সংস্থা তাদের অনুমোদিত পাম্প মালিকদের ট্যাঙ্কারেও তেল দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিবাদ। রাজবাঁধ ট্যাঙ্ক ও ট্যাঙ্কার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর ৭৭টি ট্যাঙ্কার চলে এই রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থায়। নতুন টেন্ডারের পর পাম্প মালিকদেরও ২৩টি ট্যাঙ্কার তাদের নিজ নিজ পাম্পে তেল নিয়ে আসছে ডিপো থেকে। ফলে কাজ কমেছে রাজবাঁধ ট্যাঙ্ক ও ট্যাঙ্কার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর কর্মীদের। প্রায় তিন মাস ধরেই বিবাদ চলছে বলে দাবি সংগঠনের সভাপতি সুনীল শ্যাম।
মাঝে সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেই পাম্প মালিক ট্যাঙ্কার্স সংগঠনের মধ্যে তেল সরবরাহের একটি আনুপাতিক হার ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু তাও মানা হচ্ছে না বলেই অভিযোগ তাঁদের। ফলে তাঁদের গাড়িগুলির কোনও কাজ থাকছে না এবং গাড়ির কিস্তি শোধ করতেও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। সোমবার ক্ষুব্ধ ট্যাঙ্কার সংগঠন তাদের ৭৭ টি ট্যাঙ্কার-সহ পাম্প মালিকরাও ২৩টি ট্যাঙ্কারে লোডিং বন্ধ করে দেয়। ফলে সোমবার সকালে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,বাঁকুড়া,পুরুলিয়া,হুগলি,পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান,বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে তেল সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তেল সংস্থার সঙ্গে ট্যাঙ্কার সংগঠন বৈঠকে বসে৷ পরিষেবা চালু করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিকেলের পর ট্যাঙ্কারে লোডিং শুরু হয়। যদিও পরিষেবা পুরো স্বাভাবিক হতে এখনও চব্বিশ ঘন্টা সময় লাগবে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। ওই রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থার আঞ্চলিক অধিকর্তা সুশীল কুমার প্রধানের যদিও দাবি, ‘আমাদের কোনও সমস্যা নেই। এটা ওদের নিজস্ব সমস্যা। যারাই লোডিং নিতে আসছে, তাদের লোডিং করে দিচ্ছি আমরা।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.