Advertisement
Advertisement

Breaking News

কৃষ্ণগঞ্জ

মানবিক পুলিশ, মৃতের সৎকারের জন্য পরিবারকে সাহায্য করলেন ওসি

পরবর্তীতেও ওই দম্পতির পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

OC of Krishnaganj p.s helps a couple of nadia on saturday
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 21, 2020 4:57 pm
  • Updated:March 21, 2020 5:20 pm  

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে হার মেনেছে সন্তান। চিকিৎসা করিয়ে সর্বশান্ত বাবা-মায়ের কাছে ছিল না শেষকৃত্যের টাকাও। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে পাশে দাঁড়ালেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি। আশ্বাস দিলেন পাশে থাকার। ব্যবস্থা করলেন সৎকারের।

নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বাসিন্দা দুখিরাম ও পারুল মণ্ডলের ছোট ছেলে অভিজিৎ ক্যানসারে ভুগছিলেন। ছয় বছর ধরে তাঁর চিকিৎসা করাতে করাতে কার্যত নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন মণ্ডল দম্পতি। এরপর শনিবার সকালে মৃত্যু হয় অভিজিতের। ছেলের মৃত্যুর পরই কীভাবে সৎকার হবে তা ভেবে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে দুখিরাম ও পারুলের। সাহায্যের জন্য শনিবার সকালে পঞ্চায়েত অফিস ও বিডিও-এর দপ্তরে যান তিনি। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি, কারণ এদিন সব বন্ধ। সন্তানের সৎকারের টাকা জোগাড় করতে দেহ নিয়ে ভিক্ষে করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সময় দেবদূতের মতো হাজির হন কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি রাজশেখর পাল।

Advertisement

rajsekhar-paul

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে লাটে ব্যবসা, কাজ ছেড়ে সচেতনতা প্রচারে যৌনকর্মীরা]

মণ্ডল দম্পতিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যান ওসি। সব ব্যবস্থা করেন তিনিই।  এপ্রসঙ্গে কৃষ্ণগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কামালউদ্দিন হোসেন জানান, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।গাড়ি চালকের হাত দিয়ে মণ্ডল দম্পতির হাতে দু’হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে সহায়তা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে এদিন ছেলেকে হারানোর পর রাজশেখর বাবুর মধ্যেই যেন সন্তানকে ফিরে পেলেন দুখিরাম ও পারুল। যদিও বিষয়টি নিজের দায়িত্ব বলেই মনে করেছেন ওই ওসি।

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে অগ্নিমূল্য বাজার, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিযানে পুলিশ-টাস্ক ফোর্স]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement