Advertisement
Advertisement
ডেঙ্গু

ডেঙ্গু আক্রান্ত মগরা থানার ওসি, ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি

লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা।

OC of Hoogly's Magra Police station Prasanta Chatterjee is dengue affeted
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 24, 2019 8:47 pm
  • Updated:November 24, 2019 8:47 pm  

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ক্রমশ রাজ্য জুড়ে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে ডেঙ্গু। হুগলির ২ জনের মৃত্যুর পর এবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মগরা থানার ওসি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

সূত্রের খবর, কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন শ্রীরামপুরের মগরা থানার ওসি প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ার পরও জ্বর না সারায় রক্ত পরীক্ষা করা হয়। ৫ দিন আগে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই জানা যায়, তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এরপরই কলকাতার হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন প্রশান্তবাবু। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর কমেছে তাঁর। তবে এখনও পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে তাঁকে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, শেষ কয়েকমাসে লাফিয়ে বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ছবিটা একই। হাসপাতালে সারি দিয়ে ভরতি ডেঙ্গু রোগী। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃতের তালিকাও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে নেমে পড়েছে পুরসভাগুলিও। নিয়মিত এলাকায় সাফাই অভিযান চালাচ্ছে পুরসভার কর্মীরা। বিভিন্ন জায়গায় ড্রোন দিয়ে চালানো হচ্ছে নজরদারি। কিন্তু তাতেও ঠেকানো যাচ্ছে না ডেঙ্গুকে। ক্রমশ আরও ভয়াবহ আকার নিচ্ছে এই মশাবাহিত রোগ।

প্রসঙ্গত, শেষ কয়েকদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়ে হুগলিরই দু’জনের। ১৯ নভেম্বর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সুনিধি শর্মার। পরের দিনই মৃত্যু হয় হুগলির ভদ্রেশ্বর তেলেনিপাড়ার বাসিন্দা মৃত সোনু চৌধুরির। ১৬ নভেম্বর হঠাৎই জ্বর আসে সোনুর। চারদিকে ডেঙ্গুর এত প্রকোপ তাই দেরি না করেই তাঁকে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এলে তাঁরা জানতে পারেন, ওই যুবক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এরপরই শুরু হয় চিকিৎসা। বুধবার সকালে হাসপাতালের তরফে জানানো হয় সোনুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাকে যেন অবিলম্বে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই তড়িঘড়ি অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে সোনুকে নিয়ে কলকাতার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কলকাতার হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই যুবক। কলকাতা না গিয়ে ফের চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ফিরে যান সোনুর বাবা। সেখানেই চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।

[আরও পড়ুন: ‘পার্টি অফিস ভেঙে ভোটে জেতা যায় না’, আসানসোলে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি বাবুলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement