বিক্রম রায়, কোচবিহার: সামান্য অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভরতি নয়। এবার রোগীদের অবজারভেশন রুমে রেখে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কোচবিহার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। হাসপাতালে খোলা হয়েছে অবজার্ভেশন ওয়ার্ড। ইমার্জেন্সি বিভাগের পাশেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই বিভাগ তৈরি করা হয়েছে।
কোচবিহার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রের খবর, অবজারভেশন বিভাগে মোট ১০টি শয্যা রয়েছে। জরুরি বিভাগে যাঁরা চিকিৎসা করাতে যান, তাঁদের প্রথমে হয় বসে থাকতে হয়, না হয় ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সামান্য অসুস্থতা থাকলেও ঝুঁকি না নিয়ে ভরতি হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেক্ষেত্রে অযথা হয়রানির মুখে পড়েন রোগী, চাপ বাড়ে চিকিৎসা পরিষেবার উপরও। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তা সত্ত্বেও যেহেতু তাকে ভরতি করে নেওয়া হয়, তাই নিয়মমতো অন্তত দু’-তিনদিন রেখে তারপরই রোগীকে ছুটি দেওয়া হয়। তবে এইবার এই সমস্যা সমাধান হতে চলেছে। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দেখার পরেই গুরুত্ব বুঝে রোগীকে অন্তত আধঘণ্টা অবজারভেশন বিভাগে রাখা হবে। সেখানে ইসিজি-সহ অন্যান্য একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসা করা হবে। যদি সেই চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে রুগী সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাহলে তাঁকে আর ভর্তি করা হবে না। সেখান থেকেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে।
শুধু কোচবিহার গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালই নয়, রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালেই রোগীর চাপ যথেষ্টই। বেশিরভাগ সময়ে স্রেফ বেডের অভাবেই যেমন গুরুতর অসুস্থ রোগীকেও হাসপাতালে ভরতি নেওয়া সম্ভব হয় না, তেমনি সামান্য কারণেই সরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়ে যান। ফলে সমস্যা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ রোগীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, স্রেফ বেড না থাকার কারণে গুরুতর অসুস্থ কোনও রোগীকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা যাবে না। যদি একান্তই উপায় না থাকে, সেক্ষেত্রে আগে রোগীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করতে হবে।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.