নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: “এই জয় আমার দলের, আমার সরকারের, আমার মানুষের”- বৃহস্পতিবার বিজয়ী ঘোষণা হওয়ার পর এমনটাই বলেন বসিরহাট কেন্দ্রের তৃণমূলের তারকা প্রার্থী নুসরত জাহান। দীর্ঘ একমাসব্যাপী গণতন্ত্রের উৎসব চলার পর বৃহস্পতিবার সব জল্পনার অবসান ঘটল। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল এখন হাতে। বাংলায় পদ্ম ফুটলেও, ঘাসফুলের দুই নবাগতা তারকা প্রার্থী নুসরত এবং মিমির রাজনৈতিক কেরিয়ারে তার কোনও প্রভাব পড়েনি৷
[আরও পড়ুন: নেত্রীর ভরসা রাখলেন মিমি-নুসরত, বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূলের নতুন তারকা প্রার্থীরা]
প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েই বাজিমাত করলেন নুসরত। লক্ষাধিক ভোটে প্রতিদ্বন্দী বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুকে হারিয়ে জয়ী বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহান। প্রিয় অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী জেতার পর থেকেই সবুজ আবির মেখে জয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছেন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। দুপুর ৩টে ৪২ অবধি খবর ছিল, বসিরহাটে দু’লক্ষেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন নুসরত জাহান। সেই ধারাই অব্যাহত রেখেই জয়ের মুখ দেখলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: গুরদাসপুর থেকে এগিয়ে সানি লিওনে! অর্ণব গোস্বামীকে কী বললেন অভিনেত্রী?]
প্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে নুসরত বলেন, “জয় সবসময়েই সুখকর। আমার উপর অনেক বড় দায়িত্ব ছিল। এবং জেতার পর তা আরও বেড়ে গেল। বসিরহাটের মানুষ আমাকে এত ভালবাসা দিয়েছে, আমি কৃতজ্ঞ ওদের কাছে। যা আশীর্বাদ পেয়েছি, তার জন্যেও অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে। এই জয় হওয়ারই ছিল। আর সেটাই হয়েছে। এই জয় মা-মাটি-মানুষের। দিদি আমার উপর ভরসা করেছেন, আস্থা রেখেছেন। ধন্যবাদ তাঁকে।”
দক্ষতার নিরিখে অভিনেত্রী হিসাবে টলিপাড়ায় দিব্যি প্রভাব জমিয়েছেন নুসরত জাহান৷ কেরিয়ারের মধ্যগগনে এবার তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসের সূচনা৷ ২০১৯ লোকসভা ভোটের সৌজন্যেই তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে রাজনীতির ময়দানে পা রাখা৷ নবাগতা হলে কী হবে, যত দিন গিয়েছে প্রচারের মঞ্চে তাঁকে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী নয়, জননেত্রী হিসেবে। তৃণমূলের তরফে উপহার মিলেছে সাংসদ হিসাবে ভোটে লড়ার টিকিট৷ আর সেই উপহারকেই সযত্নে আগলে রেখে প্রিয় দিদিকে দিয়েছেন রিটার্ন গিফট৷ এবার তাঁর পথ দিল্লির দিকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.