সুব্রত বিশ্বাস: কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা পেরিয়ে মঙ্গলবার কর্মব্যস্ত দিনেও হাওড়া, শিয়ালদহে তেমনভাবে বাড়ল না যাত্রীর (Pasengers) সংখ্যা। দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস পর গত বুধবার থেকে ট্রেন চলা শুরু করে। প্রথম দিন থেকে দুই ডিভিশনে গড়ে দৈনিক সাড়ে নয় থেকে দশ লক্ষ যাত্রী হচ্ছিল। ত্রিশ লক্ষের পরিবর্তে এই সংখ্যা নেহাতই নগণ্য।
উদ্বেগ প্রকাশ করে রেলকর্তারা জানিয়ে ছিলেন, পুজোর ছুটি চলছে, মঙ্গলবার থেকে সংখ্যাটা অনেকটাই বাড়তে পারে। এই আশাও মাঠে মারা গেল। পূর্ব রেলের হাওড়া, শিয়ালদহ দুই ডিআরএম জানান, যাত্রী সংখ্যা এদিন প্রায় একই রয়ে গেল। সাধারণ দিন হলেও যাত্রী বাড়েনি। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, “অতিরিক্ত ভিড়ের আশঙ্কা থেকে যাওয়ায় আমার ঘরে সিসিটিভি লাগিয়ে নজর রাখা হয়েছিল। অবস্থা দেখে স্পষ্ট ট্রেনে (Local Train) ভিড় হচ্ছে না। অফিস টাইম বাদে সবটাই ফাঁকা।”
এদিকে হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনগুলিতে ব্যারিকেডের সংখ্যা এত বেশি যে আরপিএফ থেকে টিটিইরা চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন। শিয়ালদহ ডিআরএম এসপি সিং বলেন, ব্যারিকেড করে যাত্রীদের বের করে না দিলে কনকোর্স এলাকায় ভিড় বাড়বে। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যাবে। তবে যাত্রীরা সচেতন বলে জানান ডিআরএম তাদের ৯৫ শতাংশ মাস্ক ব্যবহার করছেন, মানছেন বিধি নিষেধ। তবে চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা ক্রমে বেড়ে যাবে বলে তিনি জানান।
এদিকে মঙ্গলবার থেকেই দক্ষিণ পূর্ব রেল ৮১টি ট্রেন বাড়িয়ে ৯৫ টি ট্রেন চালাল। হাওড়া-খড়গপুর, মেচেদা, আমতা, পাশকুড়া সব শাখায় ট্রেন বেড়েছে। তবে রাজ্য, রেল বৈঠকে কোভিড বিধি নিয়ে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা হলেও তা ক্রমান্বয়ে শিথিল হয়ে গিয়েছে বলে যাত্রীরা জানান। থার্মাল স্ক্রিনিং, স্যানিটাইজার, অ্যাম্বুল্যান্স সব উধাও হয়ে গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.