বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও বিপ্লব দত্ত: পার্টির প্রভাব ছাত্র সংগঠনেও। লাগাতার ধসের ফল শূন্য সিপিএম। সদস্য সংখ্যায় ধস সিপিএমের ছাত্র সংগঠনেও। একবছরে প্রায় দু’লক্ষেরও বেশি সদস্য সংগঠন ত্যাগ করেছে বলে স্বীকার করল সিপিএমের (CPM) ছাত্র সংগঠন এসএফআই। সংগঠনের রাজ্য সম্মেলনে পেশ করা প্রতিবেদনে এমনই করুণ চিত্র সামনে এসেছে। যদিও সক্রিয় সদস্য কমেনি বলে, দাবি SFI নেতৃত্বের। সংগঠনকে ক্যাম্পাসমুখী করা যায়নি বলেই পড়ুয়াদের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা বেড়েছে বলে প্রতিবেদনের শুরুতেই স্বীকার করা হয়েছে।
২০০৮ থেকে সিপিএমের রক্তক্ষরণ চলছেই। ফলস্বরুপ লোকসভার পর গত বিধানসভাতেও বামেরা শূন্য। আলিমুদ্দিনের রক্তক্ষরণের ছায়া ছাত্র সংগঠনেও। সংগঠনের প্রতিবেদন থেকেই তা স্পষ্ট। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে নবদ্বীপে আয়োজিত সম্মেলনে যে প্রতিবেদন পেশ করা হয়, তার ৭০ নম্বর পাতায় জেলাভিত্তিক সদস্য সংখ্যা দেওয়া হয়। সেখানে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, গত একবছরে প্রায় আড়াই লক্ষ সদস্য কমেছে সংগঠনের। ১৯-২০ সালে সদস্য সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬৬৫। আর ২০-২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ১৯।
সদস্য কমার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করেছে সংগঠনের নেতৃত্ব। প্রতিবেদনের ২১ নম্বর পাতায় লেখা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে যখনই সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্ঠা হয়েছে তখনই ভোটে পার্টির বিপর্যয় ছাত্র সংগঠনেও প্রভাব পড়েছে। ছাত্র নেতৃত্বকে ক্যাম্পাসমুখী করা যায়নি। বকলমে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা কমার কারন হিসাবে আলিমুদ্দিনের ভোট ম্যানেজারদের আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ছাত্র নেতারা।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কোভিড পরিস্থিতিতে ছাত্র সংগঠনের আড়ালে ‘রেড ভলেন্টিয়ার’ নামে কাজ করা হলেও গ্রামাঞ্চলে বা শহরের দরিদ্রদের মধ্যে তার কোনও প্রভাব পড়েনি বলে প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনের তাগিদে রাস্তায় নেমে আন্দোলন হলেও একশ্রেণির নেতৃত্বের নিষ্ক্রিয়তার কারণে অনেকক্ষেত্রেই ধাক্কা খেয়েছে। দক্ষিণপন্থার প্রতি আকর্ষণ এর অন্যতম কারণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.