ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কয়েকমাসেই মোহভঙ্গ হয়। সপ্তাহ দুয়েক আগেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টেনেছেন। এবার সরাসরি তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দিলেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে তিন প্রধানে খেলা প্রাক্তন বাঙালি স্ট্রাইকার লেখেন, “প্রথমেই আমার প্রণাম নেবেন। বেশ কিছুদিন আগে অভিমানে ভুলবশত আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তার জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। নির্বাচনের সময় আমি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ি এবং সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় ছিলাম। বিগত দিনে, বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক করে আপনি বসিরহাটের মানুষের সেবা করার যে সুযোগ আমাকে দিয়েছিলেন, সে জন্য আমি আপনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকব। এমতাবস্তায়, আপনার অনুমতিস্বরূপ ক্ষমা প্রার্থনা করে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য সভাপতি মাননীয় সুব্রত বক্সী (দার) হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে আপনার অনুগত সৈনিকরূপে আগামিদিনে উন্নত বাংলা গড়তে শামিল হতে চাই।”
দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দীপেন্দু (Dipendu Biswas)। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। বসিরহাট দক্ষিণ আসনে জয়লাভও করেন তিনি। কিন্তু একুশের ভোটে ঘাসফুল শিবির আর তাঁর উপর ভরসা করেনি। ফলে লড়াইয়ের সুযোগও দেয়নি। এতেই ক্ষুব্ধ দীপেন্দু জার্সি বদলে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। গেরুয়া শিবিরও টিকিট দেয়নি তাঁকে। তবে তাঁকে দলের রাজ্য কমিটির স্থায়ী সদস্য করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই বিজেপি ছাড়েন দীপেন্দু। এবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানালেন, পুরনো দলেই ফিরতে আগ্রহী তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহ ফিরে পেতে সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা চিঠি লিখেছিলেন একুশের নির্বাচনের আগে দলত্যাগী সোনালী গুহ। পদ্মশিবিরের মোহভঙ্গ হওয়ায় দলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মালদহের সরলা মুর্মু এবং উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল আচার্যও। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন দীপেন্দুর। এবার দেখার, তৃণমূল এনিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.