Advertisement
Advertisement
Covid

কোন হাসপাতালে ক’টা বেড খালি? এবার কোভিড চিকিৎসার খুঁটিনাটি তথ্য মিলবে অ্যাপে

গুগল প্লে স্টোরে মিলবে এই অ্যাপ।

Now the details of Covid treatment will be available in a app | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 27, 2021 8:00 pm
  • Updated:April 27, 2021 8:22 pm  

সম্যক খান, মেদিনীপুর: করোনা (Cornavirus) পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার তৈরি হচ্ছে অ্যাপ। কোন হাসপাতালে ক’টা বেড খালি, কোথায় মিলবে অক্সিজেন? ওই অ্যাপে যাবতীয় তথ্য পাবেন আমজনতা। বর্তমান পরিস্থিতিতে ICMS (Integrated covid management system) নামে অ্যাপটি সাধারণ মানুষের হয়রানি খানিকটা কমাতে পারবে বলেই আশাবাদী প্রশাসন।

করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনও। মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করে জেলা টাস্ক ফোর্স। সেখানে হাজির ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কোমল, জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক নিমাইচন্দ্র মণ্ডল-সহ অন্যান্য কর্তারা। বর্তমানে জেলার পরিস্থিতি কেমন, বিশেষ করে অক্সিজেন সাপ্লাইয়ের পরিস্থিতি কীরকম আছে, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়।

Advertisement

নিমাইবাবু জানিয়েছেন, “জেলার প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ আছে। এনিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। আগামিদিনে চাহিদা বাড়লে যাতে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে সেটাও দেখা হবে। ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা ভেবে ব্লকভিত্তিক নোডাল অফিসারও নিয়োগ করা হচ্ছে। যারা ব্লকের সমস্ত বিষয়টি নিজেদের নজরে রাখবেন।” এদিন জেলা স্বাস্থ্যভবন থেকেও করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ে ব্লকস্তরে পৃথক একটি ভিডিও কনফারেন্সও অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের বৈঠকেই আলোচনা হয় বিশেষ এই অ্যাপ নিয়ে। এবিষয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামিকাল থেকেই গুগল প্লে স্টোরে মিলবে এই অ্যাপ। যেখানে খালি বেডের সংখ্যা, অক্সিজেন সহ-যাবতীয় তথ্য মিলবে নিমেষেই।

[আরও পড়ুন: কোভিডযুদ্ধে জেতার লড়াই, অক্সিজেন কন্টেনার নিয়ে পানাগড়ে বায়ুসেনার C17 গ্লোবমাস্টার]

এদিন টিকাকরনের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৭২ টি কেন্দ্র থেকে টিকাকরণ হত (সোমবার ও শুক্রবার হত ২৭২ কেন্দ্রে) সেখানে এখন কুড়িরও কম কেন্দ্রে টিকাকরণ হচ্ছে। তাও প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে না। কোনওরকমে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই টিকা নিতে ভোর থেকেই লম্বা লাইন পড়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে। গত শনিবার কলকাতা থেকে মাত্র ২৫ হাজার টিকা এসেছে। তা দিয়ে কোনওরকমে সামাল দেওয়া হচ্ছে। নিমাইবাবু জানালেন, ভ্যাকসিনের সরবরাহ যখন যেভাবে হচ্ছে, তখন সেভাবেই টিকাকরণ হচ্ছে। প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় ডোজকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement