সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাল, চিনি, ডিম নিয়ে একাধিক অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এবার আটাতেও প্লাস্টিক মেশানোর অভিযোগ উঠল রাজ্যে। এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের বীরপাড়া চা-বাগানে। অভিযোগ, রাজ্য সরকার দু’টাকা প্রতি কেজি দরে যে আটা দেয়, তাতে প্লাস্টিক জাতীয় কিছু মেশানো হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার ছাড়াও এই অভিযোগকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গের আরও বেশ কয়েকটি চা বাগান, ডুয়ার্স ও তরাই অঞ্চলেও।
চা বাগানের শ্রমিকরা বলছেন, রেশনের আটার তৈরি রুটি আগুনের সামনে ধরলে নাকি প্লাস্টিকের মতো পুড়ে যাচ্ছে। এমনকী, জল মিশিয়ে মাখার সময়ও নাকি প্লাস্টিকের মণ্ড তৈরি হচ্ছে। অনেকেই এই অভিযোগ তুলে সরকারি আটা ফেলে দিচ্ছেন বলে দাবি করেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এর আগে রাজ্যে প্লাস্টিকের ডিম, চাল, চিনি নিয়েও অভিযোগ উঠলেও কোনওক্ষেত্রেই তার সারবত্তা প্রমাণিত হয়নি। শুধু এই রাজ্যেই নয়, দিল্লি, অন্ধ্র ও তেলেঙ্গানাতেও একই অভিযোগ উঠেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম বহু ছবি ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই সব ছবিই ভুয়ো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেশনের খাদ্যসামগ্রীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠে।
Plastic sugar being sold in Bengaluru markets, creating panic among the residents who are now exercising caution while buying the commodity. pic.twitter.com/8b5Leb2LdI
— ANI (@ANI_news) June 7, 2017
খাদ্যমন্ত্রীর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, “আমি কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলাম। আটাতে প্লাস্টিক মেশানোর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে জানতে পারি, আটার প্যাকেট তৈরির সময় তাতে প্লাস্টিকের কিছু অংশ মিশে যেতে পারে। তবে একটি ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটেছিল বলে জানতে পেরেছি।” খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এমন কোনও অভিযোগ পেলেই যেন ওই আটার নমুনা কলকাতায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
INTUC নেতা অলোক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ডুয়ার্সের সাঁতালি চা-বাগান থেকে তিনি এই অভিযোগ পেয়েছেন। চা বাগানের শ্রমিকদের অভিযোগ, রেশনের আটা জল দিয়ে মাখার পর বাটির নিচে কাদার মতো কিছুটা পড়ে থাকছে। ওই কাদার মতো অংশ টানলে প্লাস্টিকের মতো লাগছে অনেকটা। অভিযোগ পেয়ে আলিপুরদুয়ারের খাদ্য নিয়ামক বাপ্পাদিত্য চন্দ জানিয়েছেন, আপাতত রেশনে আটা বিতরণ বন্ধ রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার খাদ্য দপ্তরের রিপোর্ট এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেখুন সেই ছবি-
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.