সুব্রত বিশ্বাস: দিন দিন বাড়ছে সংরক্ষিত টিকিটের চাহিদা। প্রয়োজনের তুলনায় যোগান অপ্রতুল। ভারসাম্য রাখতে কিছু সংরক্ষিত আসন বা ‘এমারজেন্সি কোটা’ রেখে দেয় রেল (Indian Railways)। যা চাহিদার নিরিখে বিচার করে এসিএম (রিজার্ভেশন) অনুমোদন করে। এই ‘কোটা’র টিকিটের বেশিরভাগটাই ‘অপব্যবহার’ হয়ে থাকে বলে অভিযোগ। পিছনে নানা অভিসন্ধি থাকে বলে জেনেছে রেল। গোপনে টাকার বিনিময়ে এমন অনেক টিকিট যেমন দেওয়া হয়, তেমনই মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের সিল ও স্বাক্ষর নকল করেও অনুমোদনের দাবি করা হয়। এই অব্যবস্থা রুখতে এবার কড়া রেল।
এবার সুপারিশকারী ও অনুমোদনকারী অফিসারকে জানাতে হবে, যে যাত্রীর জন্য এই কোটার সুপারিশ তার সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ কী? নর্দান রেলের কোটা ডিভিশনে পাইলট কর্মপদ্ধতি হিসেবে এই সিস্টেম চালু হচ্ছে।
রেলের এই নিয়ম সব জোনে এখনও এসে পৌঁছায়নি। পূর্ব রেলের এক চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজারের কথায়, এই ধরণের কোটার মাধ্যমে বেআইনি কাজ চলে, এটা যেমন অস্বীকার করা যায় না। তেমন এমন অনেক সুপারিশ আসে বিশিষ্টজনদের থেকে যাঁদের না চিনলেও সুপারিশকারীকে অস্বীকার করা যায় না। তবে বোর্ডের এই নতুন ধরণের নির্দেশ এখনও আমাদের হাতে আসেনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, রেলের কোটা ব্যবহারের যে নির্দেশ রয়েছে তাতে বলা আছে, জনপ্রতিনিধিদের প্যাডে লিখিত, বা বিশিষ্ট সুপারিশকারীদের লিখিত একটা আবেদন রাখতে হয় প্রমাণ স্বরূপ।
সামনেই পুজোর মরশুম। টিকিটের চাহিদা কোন পর্যায়ে পৌঁছবে তা অনুমেয়। এই সময়ে একাটা সংরক্ষিত টিকিটের জন্য হন্যে হয় মানুষ। সেই সুযোগে মাঠে নেমে পড়ে এক শ্রেণির ‘দালাল চক্র’। নানা কৌশলে ‘এমার্জেন্সি কোটা’ অনুমোদন করিয়ে নেয় তারা। এর জন্য মোটা টাকাও নেওয়া হয় বলেও জেনেছে রেলের ভিজিল্যান্স বিভাগ। ওই সূত্রে খবর, রেলের এক শ্রেণির কর্তারাও এই চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে। এমন প্রভাবশালী রেলের আধিকারিক রয়েছেন, যাঁরা এই কোটার সত্তর-আশি শতাংশ নিজেরাই অনুমোদন করিয়ে নেন। এবার অবশ্য তাঁদের উপর নজর রাখবে রেলের ভিজিল্যান্স। এমনটাই জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.