আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: এবার বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল। কাঁচড়াপাড়ার ঘটক রোড ও থানাপাড়া মোড়ে দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। যদিও বিজেপি নেতাদের মতে, এসবই তৃণমূলের ষড়যন্ত্র।
বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বাড়ির এলাকা কাঁচড়াপাড়ার ঘটক রোড ও থানাপাড়া মোড়ে কাটমানির পোস্টার দেখা যায়। নেতার বাড়ির আশপাশেও ছিল পোস্টার। পোস্টারে কাঁচড়াপাড়ার মানুষের থেকে কোটি টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পোস্টারে স্পষ্ট মুকুল রায় ও তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়ের নাম লেখা রয়েছে। কাঁচড়াপাড়ার মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে পোস্টারে। সেখানে লেখা রয়েছে, “বাবা-ছেলে চিটিংবাজি করেছে কাঁচরাপাড়াজুড়ে। কাঁচরাপাড়ার জনগণের কোটি কোটি টাকার হিসেব দিতে হবে। মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায় প্রস্তুত হও।”
বহুদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড ছিলেন মুকুল রায়। তারপর তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। বিজেপির অভিযোগ, তারপর থেকেই মুকুলকে হেনস্তা করতে উদ্যত হয় তৃণমূল। ভোটের আগে তাঁর গাড়িতে তল্লাশি-সহ একাধিকবার চাপ সৃষ্টি করেছে মুকুলের প্রাক্তন দল। এসব তাদেরই কৌশল। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাঁদের মতে, জনগণের টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায়। এবার জনগণই তার জবাব চাইছে। এতে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
কিছুদিন আগে এক প্রতারণার মামলায় মুকুল রায়কে জেরা করতে চেয়ে নোটিস পাঠায় কলকাতা পুলিশ৷ বড়বাজারের ওই দুর্নীতি মামলায় এর আগে বেশ কয়েকজনকে জেরা করেছেন তদন্তকারীরা৷ সেই জেরাতেই মুকুল রায়ের নাম উঠে আসে৷ এরপরই সিআরপিসি-র ১৬০ ধারায় মুকুল রায়কে নোটিস পাঠানো হয়৷ দিল্লিতে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা৷ এর কারণ হিসাবে তদন্তকারীরা অফিসাররা জানান, এর আগে একটি মামলায় মুকুল রায় তাঁদের জানিয়েছিলেন যে তিনি প্রবীণ নাগরিক৷ তাই কলকাতায় এসে জিজ্ঞাসাবাদে অংশগ্রহণ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷ সেই কারণেই এবার তদন্তকারীরা আগে থেকেই বিজেপি নেতাকে দিল্লিতে গিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.