শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: অন্য এক গৃহবধূর ঘরে শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে গণপিটুনি দিয়ে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মাঠে ফেলে রাখল গ্রামবাসীরা। তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাদের। বৃহস্পতিবার ভোরে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার কানকি এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্ত শিক্ষক সুদীপ মণ্ডল ওরফে নন্দলাল চাকুলিয়া রামকৃষ্ণপুর পিডিজি হাই স্কুলের বাংলা ভাষার শিক্ষক পদে কর্মরত। ঘটনার পরই ওই শিক্ষকের স্ত্রী বিভা মণ্ডল স্বামীর বিরুদ্ধে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। অন্যদিকে, গ্রামবাসীরাও ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষকের কাছে।
[প্রতিবেশীর বিকৃত লালসার শিকার ২ বালিকা, ধর্ষককে গণধোলাই জনতার]
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১০ সালে স্থানীয় বিলপাড়ার বিভা মণ্ডলের সঙ্গে শিক্ষক সুদীপ মণ্ডলের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি চার বছরের পুত্রসন্তানও রয়েছে। বছরখানেক ধরেই ওই শিক্ষক সুদীপ মণ্ডলের সঙ্গে স্ত্রী বিভা মণ্ডলের অশান্তি লেগেই থাকত। তারপর থেকেই প্রতিবেশী এক বধূর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই শিক্ষক। প্রতিবেশী ওই বধূর স্বামী দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করত। এই সুযোগে প্রায়ই ওই শিক্ষক নিজের বাড়িতে রাতে থাকতেন না। বুধবার রাতে স্থানীয় বিলপাড়ায় ওই বধূর ঘরে যান শিক্ষক। বৃহস্পতিবার ভোরে আপত্তিজনক অবস্থায় দেখে ফেলেন বাসিন্দারা। তারপর ঘর থেকে তুলে দু’জনকে প্রকাশ্যে মাঠের মধ্যে গণধোলাই দেয় গ্রামের লোকজন। তারপর দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ওই মাঠেই ফেলে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। গ্রামবাসীদের তরফে থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়।
[গাড়িতে উলটো জাতীয় পতাকা, বিতর্কে রাজ্যের মন্ত্রী]
স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তমকুমার সাহা বলেন, “ওই শিক্ষকের স্ত্রীর অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এদিকে গ্রামবাসীরাও ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।” কানকি পুলিশ ফাঁড়ির ওসি চন্দন সিংহ বলেন, “গ্রামবাসীদের তরফে অভিযোগ করা হলেও ওই শিক্ষকের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পরিবারের তরফে অভিযোগ হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
[হস্টেলে দাদাদের অত্যাচার, চারদিনেই বাড়ি ফিরতে হল প্রথম বর্ষের ছাত্রকে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.