শংকর রায়, উত্তর দিনাজপুর: রোগীমৃত্যুতে আবারও কাঠগড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ এবার ঘটনাস্থল উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতাল৷ ওই হাসপাতালের চিকিৎসককেও বেধড়ক মারধর করা হয়৷ আক্রান্ত ওই চিকিৎসকের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ এই ঘটনায় মৃতার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷
রবিবার রাতে উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি হন ওই এলাকারই বাসিন্দা তাবেদা খাতুন৷ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক বিপুল কুমার ঘোষ৷ অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করে রায়গঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মারা যান ওই মহিলা৷ তাবেদা খাতুনের মৃত্যুতে তাঁর আত্মীয় পরিজনরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন৷ মৃতদেহ নিয়ে আবারও হেমতাবাদ হাসপাতালে ফিরে আসেন তাঁরা৷ হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসক বিপুল কুমার ঘোষকে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ চড়-কিল-ঘুসি বাদ যায়নি কিছুই৷ ওই হাসপাতালে থাকা টেবিল, চেয়ারও ভাঙচুর করেন তাঁরা৷ মৃতার আত্মীয়দের দৌরাত্ম্যে নষ্ট হয়ে যায় হাসপাতালে থাকা ওষুধপত্রও৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ৷ তারপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়৷
প্রহৃত চিকিৎসক বিপুল কুমার ঘোষের মাথা ফেটে গিয়েছে৷ রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে৷ সেখানেই চিকিৎসা চলছে আক্রান্তের৷ জখম চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন সিএমওএইচ প্রকাশ মৃধা৷ তিনি বলেন, ‘‘মৃতার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷’’ হেমতাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিএমওএইচ৷ তিনি জানান, হাসপাতালে উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায়, স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তাবেদা খাতুনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হওয়ায় তাঁর প্রাণহানি ঘটেছে৷ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও পুলিশের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.