দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিকানের এক্সপ্রেস।
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: বছরের প্রথম ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার (Rail Accident) সাক্ষী বাংলা। বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ উত্তরবঙ্গের (North Bengal) ময়নাগুড়ির কাছে গুয়াহাটিগামী বিকানের এক্সপ্রেস উলটে লাইনচ্যুত হয় বেশ কয়েকটি বগি। প্রাথমিক অনুমান, লাইনে ফাটল থাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯। জখম এখনও পর্যন্ত ৪৩। তবে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাতভর উদ্ধারকাজের পর সকালেও তা চলছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বগিগুলিকে রেলট্র্যাক থেকে সরানোর কাজ করছে রেলের উদ্ধারকারী দল। ওই লাইন দিয়ে এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার খবর পেয়েই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়। প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে নানাভাবে উদ্ধারকাজে হাত লাগান সকলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেখানকার প্রশাসনিক কর্তা থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব সকলেই হাজির হন দুর্ঘটনাস্থলে।
প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ১২টি বগি থেকে ২-৩জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু রাতে এই সংখ্যা বেড়ে যায়। জখম অবস্থায় যাঁদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল, সেখান থেকে মৃত্যুর খবর আসতে থাকে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সরকারি সূত্র অনুযায়ী ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার ভোরেই ময়নাগুড়ির দোমোহনি এলাকা অর্থাৎ যেখানে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ছুটে গিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। তিনি সকাল থেকে সমস্ত কাজের তদারকি করছেন। বেলায় ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর। বৃহস্পতিবার তিনি টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও টুইটে দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্য শোকপ্রকাশ করে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার যখন ময়নাগুড়িতে রেল দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেসময়ই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি খবরটি পেয়ে ওই বৈঠক থেকেই প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠান। পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর থেকে দুর্ঘটনার কথা সবিস্তারে শোনেন এবং গুরুত্ব দিয়ে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.