নিজস্ব সংবাদদাতা: চিতায় কাঠের উপর শায়িত মরদেহ৷ দেহে আগুন ধরানোর আয়োজন প্রায় সারা৷ মুখাগ্নি করতে গিয়ে আচমকা পিছন থেকে পুলিশের চিৎকারে আগুন নিভিয়ে দিতে হল মৃতের সন্তানকে৷ চিতা থেকে দেহ গাড়িতে তুলে নিয়ে শ্মশান থেকে সোজা মর্গে পৌঁছল পুলিশ৷ ময়নাতদন্তের পর কাটাছেঁড়া দেহ ফের দাহ করা হল৷ সোমবার বিকেলে রায়গঞ্জের পানিশালা এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল৷
মৃতের নাম মাঝি কিস্কু৷ স্থানীয় শীতগ্রাম পঞ্চায়েতের দীপনগরে তাঁর বাড়ি৷ মৃতের পরিবারের তরফে বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগছিলেন তিনি৷ চিকিৎসা করেও কোনও লাভ হয়নি৷ প্রতিবেশীদের অনুমান, যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই শয্যাশায়ী ছিলেন৷ এদিন ভোরে বাড়িতেই মারা যান তিনি৷ সে খবর চাউর হতেই মৃত্যু ঘিরে গ্রামে নানা গুজব রটতে শুরু করে৷ সে-সবে কান না দিয়ে পরিবারের লোকজন চিকিৎসককে না ডেকে দেহ নিয়ে সোজা শ্মাশানে নিয়ে শেষকৃত্যের প্রস্তুতি শুরু করেন৷
ইতিমধ্যে খবর যায় পুলিশের কাছে৷ তখনই দেহে আগুন ধরানোর আগের মুহূর্তে রায়গঞ্জ থানার আইসির নেতৃত্বে পুলিশ হাজির হয় শ্মশানে৷ দাহকার্য বন্ধ করার নির্দেশ দেন আইসি৷ আইসি গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “মৃতদেহ ডাক্তারের সুপারভিশন ছাড়া দাহ করা হচ্ছিল৷ তাই ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল৷ তবে মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.