আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: উবের ক্যাবে চেপে কলকাতা স্টেশনে্র উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। সঙ্গে ছিল তাঁর কিশোরী মেয়ে। পরিবারের লোকেদের দাবি, ট্রেন ওঠার পর বাড়িতে ফোন করে জানিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, গন্তব্যে পৌঁছায়নি মা ও মেয়ে। তাঁদের আর কোনও খোঁজ নেই। দু’জনের তিনটি মোবাইলও বন্ধ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকেরা।
[মেসেঞ্জারে অজানা লিংক খুলে হ্যাকারদের ফাঁদে যুগল, অভিযোগ দায়ের]
বিয়ে হয়েছে ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে। বাপের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে। বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ সুমন স্বর্ণকার নামে এক গৃহবধূ ও তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে। টিটাগড়ের বৌবাজার এলাকায় থাকেন সুমনের বাবা, মা ও ভাই। তাঁদের বক্তব্য, ১৬ মে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি এসেছিলেন সুমন। ২৪ জুন কলকাতা স্টেশন থেকে কলকাতা-পাটনা লোকালে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেদিন সন্ধ্যায় বিটি রোড থেকে দিদি ও ভাগ্নীকে উবের ক্যাবে তুলে দিয়েছিলেন ওই গৃহধূর ভাই। পরিবারের লোকেদের দাবি, কলকাতা স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠার পর ফোনও করেছিলেন সুমন। কিন্তু, মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে গিরিডিতে পৌঁছাননি তিনি। সুমন স্বর্ণকারের পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ট্রেনে কলকাতা থেকে গিরিডি এক রাতের পথ। ২৮ তারিখ সন্ধ্যার ট্রেনে গিরিডি যাওয়ার কথা ছিল সুমন ও তাঁর মেয়ের। স্ত্রী ও মেয়ের জন্য পরের দিন অর্থাৎ ২৫ তারিখ স্টেশনে দাঁড়িয়েছিলেন ওই গৃহবধূর স্বামী। তিনিই ফোন করে জানান, সুমন ও তাঁর মেয়ে তানিশা গিরিডি পৌঁছয়নি। পরিবারের লোকের দাবি, মোবাইলে লাগাতার সুমন ও তানিশার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু, তিনটি মোবাইলই বন্ধ। মঙ্গলবার টিটাগড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছেন বাপের বাড়ির লোকেরা।
এদিকে আবার সুমন স্বর্ণকারের স্বামীর দাবি, ঘটনার দিন সুমন ও তাঁর মেয়ের নামে ট্রেনে টিকিটই বুক করা হয়নি। এখন মোবাইল লোকেশন ট্রাক করে নিখোঁজদের সন্ধান করছে টিটাগড় থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, শেষবার সুমনদের মোবাইলের লোকেশন দেখা গিয়েছে কলকাতার ক্যানাল স্ট্রিট এলাকা। গিরিডি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেয়েকে নিয়ে ক্যানাল স্ট্রিটে কেন গিয়েছিলেন সুমন স্বর্ণকার? নিখোঁজই বা হলেন কী করে? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
[মোবাইল কেড়ে নিয়েছেন মা, অভিমানে আত্মঘাতী মেধাবী পড়ুয়া]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.