Advertisement
Advertisement

বনধে স্বাভাবিক শিল্পাঞ্চল, প্রভাব নেই চা-বাগানেও

বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বনধ সমর্থনকারীরা৷

Normalcy continued in Industrial belts
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 26, 2018 11:45 am
  • Updated:September 26, 2018 11:45 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির ডাকা বনধে সচল রাজ্যের শিল্পাঞ্চল ও চা-বাগানগুলি৷ কল-কারখানা, অফিস, স্কুল খোলা রয়েছে৷ উপস্থিতির হার অন্যান্য দিনের তুলনায় সামান্য কম হলেও, জনজীবনে স্বাভাবিক ছন্দ৷ কোথাও কোথাও পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থনকারীদের খণ্ডযুদ্ধও হয়৷ এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থককে গ্রেপ্তার ও আটক করেছে পুলিশ৷ ইছাপুরে জখম হয়েছেন বিজেপির মন্ডল সভাপতি উজ্জ্বল সেন৷

[বনধে অগ্নিগর্ভ ইসলামপুর, নিহতদের বাড়িতে যাচ্ছেন শুভেন্দু]

বনধের দিনে স্বাভাবিক রয়েছে উত্তরবঙ্গের চা-বাগানগুলি৷ অন্যান্য দিনের মতোই কাজ করছেন শ্রমিকরা৷ শিল্পতালুক, দুর্গাপুরে জোর করে দোকানপাট বন্ধ করতে যান বিজেপি কর্মীরা৷ তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা বাঁধে৷ পুলিশের সামনেই বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে৷ আটক হয়েছেন দুই মহিলা বিজেপিকর্মী-সহ মোট ছ’জন। যদিও দুর্গাপুর স্টেশন, বেনাচিতি বাজারের মতো পাইকারি বাজারগুলি খোলা রয়েছে৷ আসানসোলের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক বলেই জানা গিয়েছে৷ সেখানে খোলা রয়েছে সমস্ত কারখানা, স্কুল-কলেজ৷ রাস্তায় চলছে সরকারি ও বেসরকারি বাস৷ উপস্থিতির হার অন্যান্য দিনের মতোই রয়েছে৷ নিয়ামতপুর, আসানসোল, বরাকর, রানিগঞ্জে বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি৷ কিছু স্থানে দোকানপাট বন্ধের চেষ্টা হলে পুলিশের তৎপরতায় তা করতে পারেননি বনধ সমর্থনকারীরা৷ স্বাভাবিক রয়েছে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল৷

Advertisement

[বিজেপির বাংলা বনধে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, ব্যাহত রেল চলাচল]

টিটাগড় স্টেশনে রেল অবরোধ করে অশান্তি করার চেষ্টা করেন বিজেপি সমর্থকরা৷ সেখান থেকে বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অহিন্দ্রনাথ বসু-সহ ১৪ জন বিজেপি সমর্থকে গ্রেপ্তার করেছে টিটাগড় থানার পুলিশ। ইছাপুরে আহত বিজেপির মণ্ডল সভাপতি উজ্জ্বল সেন৷ তাঁকে বারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷ ইছাপুর রেল স্টেশনে বিজেপি সমর্থকরা অবরোধ করতে গেলে তাদের সাথে তৃণমূল সমর্থকদের বচসা বেঁধে যায়। বিজেপির অভিযোগ, স্টেশন লাগোয়া দলীয় কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি তাতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মণ্ডল সভাপতি উজ্জ্বল সেনকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। 

[বেলা বাড়তেই পথে বিজেপি, বনধের বিরোধিতায় পালটা মিছিল তৃণমূলেরও]

ইছাপুর, জগদ্দল ও টিটাগড়ে রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷ নৈহাটির হাজিনগর ফাঁড়ির সামনে বারাকপুর-কাঁচরাপাড়া রোড অবরোধের চেষ্টা করে বিজেপি সমর্থকরা৷ বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের মিল-কারখানা অন্যান্য দিনের মতোই সচল। বিটি রোড, কল্যাণী রোডে যান চলাচল স্বাভাবিক। দোকানপাট ও বাজারহাট সব খোলা। বন্ধের কোনও প্রভাব পড়েনি বললেই চলে। অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় লোকজন অনেক কম বলে সূত্রের খবর। জগদ্দল থানার বাসুদেবপুর মোড়ে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে বিজেপি পার্টি অফিসের পিছন থেকে এক বস্তার তাজা বোমা উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ভাটপাড়া পুরসভার উপ-পুরপ্রধান সোমনাথ তালুকদার। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমাগুলি উদ্ধার করে বোম স্কোয়াডের প্রতিনিধিরাও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement