Advertisement
Advertisement

Breaking News

Dhupguri

সুপ্রিম নির্দেশে তালা খোলার জন্য নেই অশিক্ষক কর্মী, গেট খুললেন অন্য স্কুলের শিক্ষিকা!

একমাত্র শিক্ষক মারা গিয়েছেন ১০ দিন আগে।

Non-teaching worker loses job in Dhupguri on Supreme Court order

স্কুলে তালা খুলেছেন এই শিক্ষিকা। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:April 4, 2025 3:39 pm
  • Updated:April 4, 2025 3:39 pm  

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর। চাকরি হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। এদিকে রাজ্যের বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলির উপরেও নেমেছে আশঙ্কার মেঘ। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি যাওয়ায় পঠনপাঠন কীভাবে চলবে? সেও প্রশ্ন উঠছে। তবে অশিক্ষক কর্মীর চাকরি যাওয়ায় স্কুলই খোলা নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে।

জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ঘোষপাড়া জুনিয়র হাইস্কুল। সেই স্কুল খোলা নিয়ে তৈরি হল চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা। কারণ, ওই স্কুলেরই একমাত্র অশিক্ষক কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে। ফলে কে স্কুলের দরজা খুলবেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। গত ১০ দিন আগেই ওই স্কুলের পঠনপাঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ওই স্কুলে চলতি বছরে মাত্র সাতজন পড়ুয়া রয়েছে। একজন মাত্র শিক্ষক নিযুক্ত ছিলেন পঠনপাঠনের দায়িত্বে। গত ১০ দিন আগে সেই শিক্ষক মারা গিয়েছেন। ফলে স্কুলে পড়াশোনা কার্যত থমকে গিয়েছে।

Advertisement

স্কুলে মিড ডে মিল হয়। পড়ুয়ারাও আসছিল। স্কুল খোলা, বন্ধ-সহ অন্যান্য দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন ওই অশিক্ষক কর্মী। কিন্তু গতকাল সুপ্রিম নির্দেশে তাঁর চাকরি চলে গিয়েছে। তারপরই তিনি স্কুলে তালা দিয়ে চলে যান। এদিন তিনি আর স্কুলের পথ মাড়াননি। ফলে বেলা ১১টা বেজে গেলেও স্কুলের দরজা খোলেনি। তাহলে এই স্কুলের দরজা এখন থেকে বন্ধই থাকবে? সেই প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার কথা জানতে পারেন স্কুল পরিদর্শক। তিনি অন্য স্কুলের শিক্ষিকাকে ওই স্কুলে পাঠান। ওই শিক্ষিকাই এদিন বেশ কিছু সময় পর চাবি নিয়ে গিয়ে স্কুলের দরজা খোলেন। কিন্তু আগামিকালও তিনিই কি স্কুলের দরজা খুলতে যাবেন? বা স্কুলে এরপর থেকে পড়াবেন কে? কীভাবে চলবে স্কুলের পঠনপাঠন ও অন্যান্য কাজকর্ম? সেই প্রশ্ন উঠেছে। যদিও সেই বিষয় নিয়ে ওই স্কুলে আসা শিক্ষিকা কথা বলতে চাননি।

স্কুল পরিদর্শক বালিকা গোলে জানিয়েছেন, বিষয়টি জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আগামিকাল শনিবার থেকে পরিস্থিতি কী হবে? বাচ্চাদের পড়াশোনা কীভাবে হবে? সেই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement