অর্ণব দাস, বারাকপুর: আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় পোজ দিয়ে ফটোশুট তৃণমূলের ছাত্রনেতার। ইতিমধ্যেই সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যা নিয়ে জোর শোরগোল। ছবিতে যাঁকে দেখা গিয়েছে তার নাম শুভাশিস চক্রবর্তী ওরফে টুঙ্কু। বাড়ি নোয়াপাড়া বিধানসভার অন্তর্গত গারুলিয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের অঞ্জনগড় এলাকায়। তিনি এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
ভাইরাল হওয়া ছবিগুলির মধ্যে একটি শুভাশিসকে নিজের গালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে রাখতে দেখা গিয়েছে। আরেকটি ছবিতে দেখা গিয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে রয়েছে ছাত্রনেতা। আর তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, বন্দুক পেলেন কীভাবে শুভাশিস? আর বন্দুক পেয়েই বা পোজ দিয়ে ছবি তুললেন কেন?
তবে শুভাশিসকে ছাত্রনেতা মানতে নারাজ তৃণমূল। তা নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “শুভাশিস কোনদিনই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন না। কাউকে নেতা বলতে গেলে তাঁর পদাধিকার থাকতে হয়, তাহলেই নেতা বলা যায়। এটা ঘটনা যে একটা সময়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শুভাশিস। যদিও ছবিতে দেখতে পাওয়া আগ্নেয়াস্ত্রটি সত্যি কিনা, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তার পরই শুভাশিস শাস্তি পাবেন। তবে, আমি যতটুকু খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ওটা খেলনা বন্দুক ছিল। সেটা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে ছবি তোলা হয়।”
শুভাশিস যেখানের বাসিন্দা, সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তাপস বিশ্বাসের দাবি, “আমি ১৯৯৮ সাল থেকে এই এলাকায় তৃণমূল করি। ২ বছর হয়ে গেল আমি কাউন্সিলর। কিন্তু এলাকায় কখনও ওকে রাজনীতি করতে দেখিনি।” তবে তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং জানান, “তৃণমূলের নেতারা হাতে বন্দুক নিয়ে থাকবে, ছবি তুলবে এটাই তো স্বাভাবিক। তৃণমূল করলেই বন্দুক নিয়ে ঘোরার অধিকার রয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। ছবিটি কবেকার তা জানার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তরও খোঁজ করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.