ধীমান রায়, কাটোয়া: জমির মালিককে মানি অর্ডার করে দু’ধাপে ১৪ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন এক বর্গাচাষি। কিন্তু সেই টাকা গ্রহণ করেননি জমির মালিকপক্ষ। জানতে পেরে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য দু-আড়াই মাস ধরে বারবার ডাকঘরে যাচ্ছেন প্রেরক। কিন্তু ততবারই তাকে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। মানি অর্ডারের টাকা কোথায় গেল, এখনও তার হদিশ পাননি আউশগ্রামের খটনগর গ্রামের বাসিন্দা বর্গাচাষি সঞ্জয় মেটে। এনিয়ে ইতিমধ্যে তিনি একাধিকবার ডাকবিভাগে অভিযোগ জানিয়েছেন।
আউশগ্রামের খটনগর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় মেটে পেশায় প্রান্তিক চাষি। গ্রামের পাশেই মাঠে কিছুটা জমি তাদের নামে বর্গা রেকর্ড রয়েছে। জমির মালিকপক্ষের বাড়ি ভেদিয়া গ্রামে। সঞ্জয় মেটে জানিয়েছেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে সরাসরি দেখা না হওয়ায় তিনি ভেদিয়া পোস্ট অফিসে গিয়ে মালিকপক্ষের দু’জনের নামে মানি অর্ডার করে ধানের ভাগের টাকা পাঠিয়েছিলেন। সঞ্জয়বাবুর কথায়, ‘আমরা যে জমি বর্গাচাষ করি, তার মালিক দুই ভাই – মুক্তকুমার ধারা ও মণিকুমার ধারা। গত জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ ওই দু’জনকে ৪ হাজার টাকা করে মোট ৮ হাজার টাকা মানি অর্ডার করে পাঠিয়েছি। কিন্তু সেই টাকা তাঁরা নেননি। পরে মার্চ মাসের ১৮ তারিখ ফের দু’জনকে ৩ হাজার টাকা করে মানি অর্ডার করি। পরে জানতে পারি, সেই টাকাও তাঁরা গ্রহণ করেননি। প্রাপকরা টাকা না নিলে সেই টাকা আমার কাছে ফিরে আসার কথা। কিন্তু সেই টাকা আজও ফিরে পাইনি।’
সঞ্জয় মেটের অভিযোগ, এনিয়ে গত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়েই ভেদিয়া পোস্ট অফিসে সমস্ত প্রমাণ-সহ লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন তিনি। তারপর একাধিকবার পোস্ট অফিসে গিয়েছেন। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে এখনও টাকার হদিশ মেলেনি।’ ১৪ হাজার টাকা ডাকবিভাগের কাছে ফিরে পেতে তিনি হন্যে হয়ে ঘুরছেন। এদিন মঙ্গলবার সঞ্জয়বাবাবু ফের ভেদিয়া পোস্ট অফিসে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। পোস্টমাস্টার কৃষ্ণ প্রধানের কথায়, ‘বিষয়টি জানি। মানি অর্ডারের টাকা প্রাপক না নেওয়ার পর ওই টাকা বননবগ্রাম পোস্ট অফিসে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন প্রেরক ফেরত পাননি, তা বলতে পারব না।’ অপরদিকে বননবগ্রাম পোস্ট অফিসের এক কর্মী ফাল্গুনী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের পোস্ট অফিসে এখনও কোনও টাকা ঢোকেনি।’
ছবি: জয়ন্ত দাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.