শ্রীকান্ত দত্ত, পশ্চিম মেদিনীপুর: ঝাঁ চকচকে স্কুল৷ খাতায় কলমে পড়ুয়া সংখ্যা মোটে চার৷ তারাও স্কুলে আসে না বললেই চলে৷ শিক্ষক মাত্র একজন৷ রোজ নিয়ম মেনে অবশ্য স্কুলে আসেন শিক্ষক নরেন্দ্র কুমার দে৷ স্কুল খোলার পর, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে খানিক গল্পগুজব করে বিকেলে বাড়ি ফিরে যান৷ মাস গেলে মাইনেও পেয়ে যান৷ স্কুলের নাম রামজীবনপুর কালীমাতা তফশিলি প্রাথমিক বিদ্যালয়৷
[পড়াশোনা করতে চায় মেয়ে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের চেষ্টা বাবার]
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল লাগোয়া রামজীবনপুর পুরসভা৷ পুর এলাকায় ৬ নং ওয়ার্ডে বেশিরভাগ বাসিন্দাই তফশিলি জাতিভুক্ত৷ এলাকায় একটি প্রাথমিক স্কুলও আছে৷ রামজীবনপুর কালীমাতা তফশিলি প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ স্কুল ভবনটি পাকা৷ পরিকাঠামোর কোনও অভাব নেই৷ চার-চারটি ঘর, মিড ডে মিলের রান্নাঘর, শৌচাগারই শুধু নয়, স্কুলে বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানীয় জলেরও সুব্যবস্থা রয়েছে৷ নেই শুধু পড়ুয়াই৷ খাতাকলমে এই স্কুলে পড়াশোনা করে মাত্র চারজন৷ কিন্তু, বাস্তবে স্কুলে আসে না কেউ৷ তবে নিয়ম মেনে অবশ্য রোজই স্কুলে আসেন একমাত্র শিক্ষক নরেন্দ্র কুমার দে৷ তিনি বলেন, ‘“বছর খানেক আগেও জনা দশ বারো ছাত্রছাত্রী স্কুলে আসত। এখন আর একজনও আসে না৷ ছাত্র জোগাড় করতে পাড়ায় পাড়ায় গিয়েছি৷ তবুও আসছে না পড়ুয়ারা৷ খুব হতাশ লাগছে৷’ বিষয়টি জানেন রামজীবনপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নির্মল চৌধুরীও৷ পুর চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ‘ওই এলাকায় একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রও রয়েছে৷ পড়ুয়া কমার সেটিও একটি কারণ হতে পারে৷ খুব বেশি পরিবারও নেই ওই এলাকায়। কী করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছি৷’
[আনাড়ি ছেলেকে স্টিয়ারিং ধরিয়ে উধাও চালক, দুর্ঘটনায় স্কুলবাস]
এদিকে, রামজীবনপুর পুর এলাকায় এই প্রাথমিক স্কুলটিতে পড়ুয়া সংকট নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন রামজীবন চক্রও৷ চক্রের ভারপ্রাপ্ত এসআই কৌশিক ঘোষের আশঙ্কা, ‘এই পরিস্থিতি বছরের পর বছর চলতে থাকলে সংসদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে৷ বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে৷ আমরাও ভাবনা চিন্তা করছি৷”
ছবি: সুকান্ত চক্রবর্তী
[বিয়েতে নারাজ পরিবার, বদলা নিতে নেটদুনিয়ায় প্রেমিকার অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.