স্টাফ রিপোর্টার: ফের চোখ রাঙাচ্ছে দাবদাহ৷ সব কিছু ঠিক থাকলে শনিবারই রাজ্যে পা রাখার কথা ছিল বর্ষার৷ বদলে লু চলল কলকাতায়৷ দিনভর ছক্কা হাঁকাল সর্বোচ্চ আর্দ্রতা৷ অন্তত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই৷ সোমবার দুপুরের পর থেকে প্যাচপেচে গরমের প্রভাব কিছু কমবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ৷
এদিন কলকাতা ও আশপাশের এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে৷ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ বাঁকুড়া, আসানসোল-দুর্গাপুরে পারদ পৌঁছেছে ৪২.৭ ডিগ্রিতে৷ বড়সড় মেঘ জমার পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় হু হু করে বেড়েছে আর্দ্রতা৷ চরমে পৌঁছেছে অস্বস্তিসূচক৷ হাওড়ার বি গার্ডেন এলাকায় বাসের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন চালক পরবেশ আলম (৪০)৷ হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ অনুমান গরমের জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷
রাজ্যে কবে বর্ষা ঢুকবে তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না আবহওয়াবিদরা৷ কয়েকদিন আগেই কেরলে পা দিয়েছে বর্ষা৷ কেরলে ঢুকে সাধারণত বঙ্গোপসাগর হয়ে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার পর রাজ্যে ঢোকে বর্ষা৷ এবারও সেভাবেই পাড়ি দিয়েছিল বর্ষা কিন্তু মধ্য বঙ্গোপসাগরে পড়ার আগেই তার গতি মন্থর হয়ে পড়েছে৷ কারণ এল নিনোর প্রভাবে রাজস্থানের দিক থেকে আসা গরম হাওয়া দেওয়াল তুলে রেখেছে মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত৷ যার জেরে দাবদাহের সঙ্গে বাড়ছে আর্দ্রতার প্রভাব৷ তাছাড়া প্রতি বছর বর্ষাকে কার্যত রাজ্যে হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে নিম্নচাপ৷ বর্তমানে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে না৷ যদিও আশার কথা, এ রাজ্যে ঢুকতে পারলেই স্বাভাবিক বা তার থেকে কিছুটা বেশি বৃষ্টি ঘটাবে মৌসুমি বায়ু৷
গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, “মধ্য বঙ্গোপসাগরে এসে মন্থর হয়ে পড়েছে বর্ষা৷ গরম বায়ু সক্রিয় থাকায় আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়ছে৷ স্থানীয়ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হলেও তাতে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই৷ সোমবার দুপুর পর্যন্ত একইরকম পরিস্থিতি চলবে৷ তারপর থেকে অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হতে পারে৷” দক্ষিণবঙ্গে হাঁসফাঁস অবস্থা চললেও ভারী বৃষ্টি চলছে উত্তরবঙ্গে৷ আগামী কয়েক দিনেও বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়৷ বর্ষা না আসা পর্যন্ত স্বস্তি মিলবে না দক্ষিণবঙ্গে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.