দেবব্রত দাস, খাতড়া: পাহাড় টিলার নিচে এক ফালি আদিবাসী গ্রাম। সর্পিল পাহাড়ি সরু পায়ে চলার পথ। সেই রাস্তা-মাঠ পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় গ্রাম। সরু রাস্তায় কোনওরকমে হেঁটে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের গোড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগানপাড়া এমনই ‘নেই রাস্তা’র গ্রাম। ওই গ্রামের মানুষ তাই অবিলম্বে একটা রাস্তার দাবিতে সরব হয়েছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত অবশ্য জানিয়েছে, ফাঁকা জমি পেলে তারা রাস্তা বানিয়ে দেবে।
[‘পুলিশকে দিয়ে অ্যারেস্ট করাব’, হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে টিএমসিপি জেলা সভাপতি]
খাতড়া থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম বাগানপাড়া। গোড়াবাড়ি থেকে এই গ্রামের দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। প্রায় ৪০টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস এই গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোড়াবাড়ি থেকে এই গ্রামে যাতায়াত করতে গিয়ে পদে পদে হোঁচট খেতে হয় গ্রামের মানুষকে। পাহাড়ের টিলা পেরিয়ে, জমির আলপথ ডিঙিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদেরকে। এই গ্রামের বাসিন্দা অমিয় হেমব্রম, কিশোর সোরেন বলেন, “সম্প্রতি গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে। কিন্তু আজও রাস্তা হয়নি। প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি আমাদের গোড়াবাড়ি যেতে হয়। জমির আলপথ ডিঙিয়ে পাহাড়ি পথে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করি। প্রায় এক কিলোমিটার দূরের কদমবেড়া গ্রামে অনেক কষ্ট করে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে পড়তে যেতে হচ্ছে। আশেপাশের কদমবেড়া, সিদগোড়া, জলহরি গ্রামে পাকা রাস্তা হলেও আমাদের গ্রামে এখনও রাস্তা না হওয়ায় যাতায়াতের খুবই সমস্যা হচ্ছে।”
গ্রামবাসী অজিত সোরেন, পশুপতি হেমব্রম বলেন, “রাস্তা না থাকায় গ্রামের কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে প্রচণ্ড সমস্যা হয়। গ্রামে রাস্তা না থাকায় কোনও অ্যাম্বুল্যান্স বা ছোট গাড়ি ঢুকতে পারে না। অসুস্থকে ডুলিতে চাপিয়ে গ্রাম থেকে নিয়ে যেতে হয়। রাতবিরেতে খুবই সমস্যা হয়।” গ্রামবাসীর দাবি, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে বারবার রাস্তার জন্য জানানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। গোড়াবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝরনা বাউরি অবশ্য বলেন, “ওই গ্রামে রাস্তার সমস্যার কথা আমাকে কেউ আগে কখনও জানাননি। রাস্তা তৈরির জন্য উপযুক্ত ফাঁকা জায়গা বা জমি থাকলে পঞ্চায়েতের তরফে অবশ্যই রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে।”
[কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় প্রয়াত! গুগলের দেওয়া তথ্যে বিভ্রান্তি চরমে]
ছবি: পরেশ মাইতি
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.