সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: রাজ্যে জুড়ে সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধকের আকাল। শিলিগুড়িতে বিক্ষোভে মুখে পড়লেন দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য। জেলা হাসপাতালে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সদস্যরা। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সিএমওএইচ।
[হাসনাবাদ মনসামঙ্গল কাণ্ড, সাপ ভাড়া দিয়ে ধৃত সাপুড়ে]
জলাতঙ্কের কোনও চিকিৎসা নেই। সময়মতো প্রতিষেধক না নিলে মৃত্যু অনিবার্য। পাগল কুকুরের কামড়ে মানুষের শরীরে ঢোকে এই মারণরোগের জীবাণু। কারণ পোষা কুকুরকে জলাতঙ্কের হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করেন মালিক। কিন্তু, রাস্তার কুকুরকে আর কে প্রতিষেধক দেবে! জানা গিয়েছে, কুকুরের কামড় খেয়ে গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নিতে আসেন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে। অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে জলাতঙ্ক পাওয়া যাচ্ছে না। ওষুধ না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক ছিল। বৈঠকে যোগ দিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য। বৈঠকে আগে জেলার শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সদস্যরা। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ডও। দ্রুত শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে জলাতঙ্কে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছে দার্জিলিংয়ের সিএমওএইচ।
[পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার স্বামী]
শুধু শিলিগুড়ি বা উত্তরবঙ্গেই নয়, রাজ্যে সবকটি সরকারি হাসপাতালেই এখন জলাতঙ্কের প্রতিষেধকের আকাল। কিন্ত, এমন পরিস্থিতি তৈরি হল কেন? সূত্রের খবর, রাজ্যে সরকারি হাসপাতালগুলি এই মারণরোগের প্রতিষেধক সরবরাহ করে একটি বেসরকারি সংস্থা। স্টক শেষ হওয়ার আগে আগামী চারমাসের চাহিদা মতো ওই সংস্থাকে ফের প্রতিষেধক সরবরাহের বরাত দেওয়ার কথা হাসপাতালগুলির। কিন্তু, বাস্তবে তেমনটা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক পাচ্ছেন না রোগীরা।
[জেলায় জেলায় ঝড়-বৃষ্টির দাপটে মৃত ৬, ভিজতে পারে শহরও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.