Advertisement
Advertisement

জ্ঞান সিং সোহনপাল প্রয়াত, ‘চাচা’র প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর

৯ বারের বিধায়ক হওয়ার রেকর্ড ছিল তাঁর।

No more dripping, Japanese scientists make ice cream that doesn’t melt
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 8, 2017 12:50 pm
  • Updated:August 8, 2017 12:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের পরিষদীয় রাজনীতিতে একটি যুগের অবসান। প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জ্ঞান সিং সোহনপাল। ৯৩ বছরে মৃত্যু হল প্রবীণ কংগ্রেসির। রাজ্য রাজনীতিতে যিনি চাচা নামেই বেশি পরিচিত। কিছুদিন ধরে লিভারের অসুখে ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার এসএসকেএম হাসপাতালে চাচার মৃত্যু হয়। খড়গপুরের ৯ বারের বিধায়ক হয়েছিলেন। যা বাংলার রাজনীতিতে বেনজির। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

[পুরুলিয়া পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ মাওবাদীর]

রাজ্য রাজনীতির চাচা আর নেই। প্রয়াত হলেন জ্ঞান সিং সোহনপাল। ১৯৬২ থেকে তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল খড়গপুর। রেল শহরের পাশাপাশি এই জনপদের পরিচিত ছিল এটি চাচার কেন্দ্র। ষাটের দশকে তিনি এখান থেকে কংগ্রেসের প্রতীকে প্রথম জিতেছিলেন। ১৯৬৭ সালে হারলেও, ফের ১৯৭১-এ জয়ী হন। ১৯৭৭-এ বামফ্রন্ট আসার বছরে তাঁকে হারতে হয়েছিল। তবে আর চাচাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৮২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জ্ঞান সিং সোহনপাল ছিলেন অজেয়। গত বছর নির্বাচনে হারলেও মাটির কাছাকাছি ছিলেন। সবসময় কাজের মধ্যে থাকতেন। ৫৪ বছরের রাজনৈতিক জীবন। ৯ বারের বিধায়ক। এই নজির রাজ্য রাজনীতিতে আর কারও নেই। প্রতিটি দলের কাছে তিনি ছিলেন শ্রদ্ধার জায়গায়। সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের জমানায় চাচা পরিবহণমন্ত্রী হয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগে কলকাতায় প্রথম নেমেছিল মিনিবাস। মিনি ভারত অর্থাৎ, খড়গপুরের প্রতিনিধি ছিলেন চাচা। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র খড়গপুর সদরের প্রায় প্রত্যেক ভোটারকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন। ভোটাররাও তাঁকে চিনত। এমনই ছিল জনসংযোগ।

Advertisement

[এভারেস্ট জয়ের ভুয়ো দাবি, চাকরি গেল মহারাষ্ট্রের পুলিশ দম্পতির]

সপ্তাহ দুয়েক আগে চাচা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। প্রবীণ নেতাকে কলকাতায় এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিভার-সহ  তাঁর একাধিক অঙ্গ  বিকল হয়ে পড়ে। এসএসকেএম হাসপাতালে গত কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রেখে জ্ঞান সিংয়ের চিকিৎসা চলছিল। মঙ্গলবার বিকেলে আসে দুঃসংবাদ। প্রবীণ নেতার প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবে সরকারপক্ষ ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement