সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: নো মাস্ক, নো ভেজিটেবল। নো মাস্ক, নো ফ্রুট। এর সঙ্গে অবশ্যই নো মাস্ক, নো পেট্রল। করোনা সচেতনতায় পুরুলিয়ার আমজনতাকে এইভাবেই স্বাস্থ্যবিধির পাঠ দিচ্ছে জেলা পুলিশ। জঙ্গলমহলের এই জেলায় পেট্রল পাম্প, বাজার, ও ফলের দোকানগুলিতে পুলিশের তরফে এরকমই পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেও পথ সুরক্ষায় স্লোগান ছিল – নো হেলমেট, নো পেট্রল। এবার মাস্কের ক্ষেত্রেও একই বিধি এবং তার সঙ্গে জুড়ল ফল এবং বাজারও। জেলা পুলিশের স্পষ্ট বার্তা – মাস্ক না পরলে এই দুটিও আপনার জুটবে না।
রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘মাস্ক হবে সভ্য সমাজের নতুন পরিচিতি।” এ রাজ্যে মাস্ক বাধ্যতামূলক হওয়ার পরেও ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এই প্রান্তিক জেলায় এখনও মানুষজন সেভাবে সচেতন হননি। নাক–মুখ ঢাকতে স্বয়ং জেলাশাসককে এই জেলায় পথে নামতে হয়। তারপরে শহর পুরুলিয়ার মানুষজন খানিকটা সতর্ক ও সাবধানী হলেও গ্রামাঞ্চলের সকল মানুষজন এখনও তা বুঝতেই পারছেন না বলে অভিযোগ। তাই পুরুলিয়া জেলা পুলিশ মাস্ক ছাড়া বাজার, ফল ও পেট্রল দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের এই পদক্ষেপে অনেকটাই কাজ হচ্ছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস. সেলভামুরুগন বলেন, “মাস্ক এখন বাধ্যতামূলক। রাস্তায় বার হলেই নাক–মুখ ঢাকতে হবে। মাস্ক না থাকলে রুমাল, কাপড় বা গামছা ব্যবহার করা জরুরি। সেই কারনেই করোনা সচেতনতায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে আমরা কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।”
তবে পেট্রল পাম্প, বাজার, ফলের দোকানে এই ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার লাগিয়ে দিয়েই থেমে নেই পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। রীতিমত পথে নেমে চলছে প্রচার। নিয়মভঙ্গ হচ্ছে কি না, সরেজমিনে তার সবটা খতিয়ে হচ্ছে। বলা যায়, সংক্রমণ এড়াতে প্রত্যেককে নাক–মুখ ঢেকে রাখতে বিধির পাঠ দিচ্ছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। তবে পুলিশ, প্রশাসনের সঙ্গে এই জেলায় নাক–মুখ ঢাকার প্রচারে পথে নেমে, গ্রামে গিয়ে মানুষজনকে বোঝাচ্ছেন জন প্রতিনিধিরাও।
ছবি: অমিত সিং দেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.