Advertisement
Advertisement
Deucha Pachami

দেউচা-পাচামি কয়লা খনির জন্য জোর করে জমি নেওয়া হবে না, বৈঠকে জানাল জেলা প্রশাসন

প্রয়োজনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলোচনাও করা হবে।

No forceful land acquisition for Deucha Pachami, administration assures land owners | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 19, 2021 10:03 pm
  • Updated:November 19, 2021 10:03 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করেই হবে দেউচা-পাচামি কয়লা খনি। জোর করে কারও জমি নেওয়া হবে না। সহমতের ভিত্তিতেই জমি কেনা হবে। কয়লা খনির সরকারি প্যাকেজ ঘোষণা হতেই জমিদাতাদের বৈঠকে এ কথা স্পষ্ট করল প্রশাসন। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মন্তব্যকেই আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়া হল।

শুক্রবার এলাকার জমিদাতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন। জমিদাতাদের হাতে সরকারের ঘোষিত প্যাকেজ তিনটি ভাষায় ছাপিয়ে এলাকার গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেলাশাসক বিধান রায় জানান, “এই প্যাকেজ নিয়ে এলাকায় চর্চা, আলোচনা, নানান প্রশ্ন উঠবে। আমরা সে নিয়ে এলাকায় গিয়ে পাড়া বৈঠক কিংবা দরকারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলোচনা করতে রাজি। তবে প্রথম বৈঠকেই আমরা খুশি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: International Men’s Day: ‘এই গ্রহের সবচেয়ে বিস্ময়কর মানুষকে…’, শোভনকে বিশেষ বার্তা বৈশাখীর]

সরকারিভাবে দিন কয়েক আগেই দেউচা-পাচামি (Deucha Pachami) নিয়ে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তারপরই সিউড়িতে রবীন্দ্রসদনে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা বৈঠকে বসলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প রুপায়নে ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক, আইনি ও মন্ত্রিসভায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু কাজ শুরু করার অপেক্ষা। সরকারিভাবে আরও জানানো হয়, দেওয়ানগঞ্জ ও হরিনসিঙা- এই দুই মৌজা থেকেই এশিয়ার বৃহত্তর কয়লাখনির খননের কাজ শুরু হবে। সে জন্য দেওয়ানগঞ্জের ১ নম্বর মৌজা থেকে সরকারি জমিতে ১৫ জায়গায় খনন শুরু হয়ে যাবে। এলাকায় মোট ৮০ টি জায়গায় গর্ত খুঁড়ে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরু হবে। জেলাশাসক জানান, “ওই এলাকায় তিন ধরনের জমি আছে। বনভূমি, ব্যক্তিগত জমি ও সরকারি খাস জমি। আমরা প্রথমে সরকারি জমি থেকে খননের কাজ শুরু করব। তারপরে যেখানে যেমন জমি প্রয়োজন হবে, সেখানে তেমন জমি নেওয়া হবে।”

ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী প্যাকেজ ঘোষণা করে রেখেছেন। সরকার কয়লাখনির জন্য কোনও জমি অধিগ্রহণ করবে না। সব জমি কিনে নেবে। প্রশাসনের দাবি যে প্যাকেজ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, তা সমকালের সেরা প্যাকেজ। কয়লা খনন করতে গিয়ে যদি বনভূমি কাটতে হয়, সেক্ষেত্রে বনভূমির আইন অনুসারে বিকল্প বনভূমির ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। আদিবাসীদের পুনর্বাসনের জায়গা হিসাবে চাদা ও প্যাটেলনগরের সরকারি এলাকাকে চিহ্নিত করে রেখেছে সরকার। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি জানান, ওই এলাকার পাশেই ঝাড়খণ্ড সীমানা। সেখান থেকে কেউ যাতে এসে ঝামেলা না করতে পারে, তার উপর নজরদারি করবে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ,পিডিসিএল, সাধারণ প্রশাসনকে নিয়ে যৌথ একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে স্থানীয় মানুষ তাঁদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন।

[আরও পড়ুন: ব্যাগে লক্ষ লক্ষ টাকা! শিয়ালদহের ২ টিকিট পরীক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল রেল]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement