রাজা দাস, বালুরঘাট: গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিদ্যুৎ দপ্তরের টানাপোড়েনে বিদ্যুৎহীন বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষোভ এলাকার বাসিন্দাদের। এড়িয়ে না গিয়ে পুরো এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষই দায়িত্ব নিক বলে দাবি বাসিন্দাদের।
বালুরঘাট শহর সংলগ্ন চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রধান সড়কের ধারে উত্তর পাড়া, গ্রন্থাগার পাড়া, শ্মশান পাড়া-সহ বেশ কিছু এলাকায় অন্তত দশদিন ধরে জ্বলছে না বাতিস্তম্ভের আলো। ফলে, রাতের অন্ধকারে পথ চলতে নাকাল এলাকার মানুষজন। সেই সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীর আনাগোনা এবং চোরের উপদ্রব বেড়েছে। এছাড়া পথবাতি না থাকায় জনবহুল প্রধান সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষজন। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এলাকার এই পথবাতিগুলি। সেগুলি জ্বালাতে স্থানীয়রা চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ দপ্তরকে জানিয়েছিলেন প্রথমদিনই। দিন চারেক পর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সবকিছু দেখেশুনে যায়। ভিডিও হল মোড়ের কাছে গোলযোগ চিহ্নিত করা হয় একটি বিদ্যুৎ পিলারে। কিন্তু সারাইয়ের কোনও কাজ হয়নি পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। কাজটি সরাসরি বিদ্যুৎ দপ্তরের বলে দায় এড়িয়ে যান পঞ্চায়েতের সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। ফের বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে কর্মীরা এসে দেখেশুনে যান পিলারটি। তাঁরাও এবার দায় চাপায় পঞ্চায়েতের কাজ বলে। দুই পক্ষর টানাপোড়নের ফলে এখনও সারাইয়ের কাজই হয়নি। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার পথবাতি বন্ধ হয়ে রয়েছে এখনও। ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা, ভাস্কর চট্টোপাধ্যায় ও বাপ্পা চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিবার একইভাবে একে অপরের উপর দায় চাপায় ওরা। বারবার ভিডিও হলের কাছে পিলারে দেখা যায় গোলযোগ। কিন্তু স্থায়ী সমাধান করে না কেউ। একবার গোলযোগ দেখা দিলে অন্তত এক সপ্তাহ বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকে এলাকা। তা বাড়ির বিদ্যুৎ পরিষেবা হোক কিংবা রাস্তার। বন্যার পর তো একটানা ১৭ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন হয়েছিল বাড়ি ও রাস্তাগুলি।” তাঁদের দাবি, দায়িত্ব যারই হোক না কেন, সমস্যার সমাধান দ্রুত করে দিতে হবে। অন্যথায় জনরোষ দেখা দেবে।
চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্ধ্যা হালদার বলেন, গ্রিপ লাগানোর কাজ তাদের। পঞ্চায়েত থেকে লোক গিয়ে সেটি দেখে এসেছে। গ্রিপ ঠিক রয়েছে সেখানকার। সমস্যা পিলারের উপরে। সেটা সরাসরি বিদ্যুৎ দপ্তর দেখভাল করে থাকে। বালুরঘাট বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক জানান, তাদের কর্মীরা গিয়ে দেখে এসেছেন। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী কাজটি গ্রাম পঞ্চায়েতের। তবু তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.