Advertisement
Advertisement
BJP

বিজেপির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক হয়নি দু’মাস, অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন!

দলে বিদ্রোহ চরমে।

No disciplinary meeting held yet in West Bengal BJP | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 23, 2022 2:09 pm
  • Updated:January 23, 2022 2:09 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দলে বিদ্রোহ চরমে। শীর্ষনেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ নেই নিচুতলায়। আর বঙ্গ বিজেপিতে এই বিশৃঙ্খলা সামলাবে কে? দলের বিক্ষুব্ধ কর্মীদের শৃঙ্খলার লাগাম পরানোর দায়িত্ব যাদের হাতে সেই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির অস্তিত্বই দেখা যাচ্ছে না রাজ্য বিজেপিতে। নতুন রাজ্য সভাপতি হিসাবে সুকান্ত মজুমদার দায়িত্ব নেওয়ার পর দু’মাস কেটে গেলেও নতুন কমিটি তৈরি হয়নি। শুধু তাই নয়, আগের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীকে নতুন রাজ্য কমিটি থেকে বাদই দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গ বিজেপিতে সফলতম রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) নামই উঠে আসে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় দলের বিপুল সাফল্য এসেছে। আবার ২০২১-এ বিজেপি এ রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল যখন হয়েছে তখনও রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষই। দিলীপ শিবিরের দাবি, তাঁদের জমানায় দলের অভ্যন্তরে এত বিদ্রোহের আগুন ছিল না। বিশৃঙ্খলা ছিল না। নিচুতলার উপর শীর্ষনেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ ছিল। কিন্তু জমানা বদলের পরই নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) একের পর এক প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলাতে হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘একটা স্ট্যাচু করেই নেতাজিকে ভালবাসা যায় না’, মোদির ‘দেখনদারি’ নিয়ে তোপ মমতার]

প্রতিদিনই দলের মধ্যে বিদ্রোহীদের সংখ্যা বাড়ছে। বিজেপির (BJP) মতো সর্বভারতীয় শৃঙ্খলাবদ্ধ দলে বঙ্গ শাখায় শৃঙ্খলা কার্যত উধাও। দলের মধ্যে প্রশ্ন, বিশৃঙ্খলা যারা করছে তাদের শৃঙ্খলের বেড়ি পরাবে কে? ২০২১-এ বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর পার্টিতে যখন বিদ্রোহ-ক্ষোভ দানা বাঁধছে, সেই সময় বিদ্রোহ কড়া হাতে দমন করতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তিন সদস্যের একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকারকে চেয়ারম্যান করে সেই কমিটির বাকি দু’জন সদস্য করা হয়েছিল তৎকালীন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রথীন বসু ও সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীকে।

এরপরই মেয়াদ শেষের আগেই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে। আর সেই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক কবেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে দলে শৃঙ্খলা কার্যত লাটে উঠেছে বলেই মনে করছে একাংশ। কারণ, এক, দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ছেন একাধিক বিধায়ক। দুই, শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন অনেকে। তিন, দলে থেকেও অনেকে নিষ্ক্রিয়। এই অংশকে জবাব চাওয়ার জন্য শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কেউ নেই। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, নতুন কমিটি এখনও হয়নি। পুরনো কমিটিরই কাজ চালানোর কথা।

[আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভুরিভুরি রেকর্ড ভারতের, শেষ আটে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ]

এদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে মুখ খুলে সরাসরি দল থেকে বহিষ্কার হতে হয়েছে হাওড়া সদরের বিজেপির সভাপতি সুরজিৎ সাহাকে। তৃণমূল ছেড়ে দলে আসা নব্যদের প্রাধান্য দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন সুরজিৎ। আবার দীর্ঘদিনের কর্মী চন্দ্রশেখর বাসোটিয়া কলকাতা পুরভোটে টিকিট পাননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তাকেও সরাসরি বহিষ্কার করা হয়। দলে প্রতিবাদীদের এইভাবে সরাসরি বহিষ্কার করা যে পার্টির গঠনতন্ত্র বিরোধী তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এক রাজ্য নেতার কথায়, এক কলমে কাউকে বহিষ্কার পদ্ধতি বিজেপিতে নেই। যদি এটা করা হয় তা সম্পূর্ণ অবৈধ। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি আগে শো-কজ করে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement