সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর, তাই প্রাপকদের নাম ঘোষণা করেও সমাবর্তনের অনুষ্ঠানসূচি থেকে বাদ দিতে হয়েছে দেশিকোত্তম প্রদানকে। এবার বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ সম্মান পাচ্ছেন না কেউ। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে একেবারে খুশি নন তা প্রকাশ পেল সমাবর্তনের আগের দিন। কোনওরকম রাখঢাক না করেই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘অনুষ্ঠানসূচি থেকে দেশিকোত্তম বাদ যাওয়ায় আমি দুঃখিত। এটা রাজনীতির জায়গা নয়, যাঁরা দেশিকোত্তম পাচ্ছেন তাঁরা প্রত্যেকেই রাজনীতির উর্ধ্বে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবছর বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে অংশ নেবেন। সমাবর্তন ও বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনকে গুরুত্ব দিলেও প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককে কুটনৈতিকভাবে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেকারণে কাটছাঁট করতে হয়েছে সমাবর্তনের অনুষ্ঠান সূচিতে। শুধু দেশিকোত্তম নয়, বাদ দিতে হয়েছে আরও কয়েকটি চিরাচরিত কর্মসূচি। যদিও, নিন্দুকেরা বলছেন কোনও কূটনৈতিক কারণ নয়, স্রেফ প্রাপকদের তালিকা প্রধানমন্ত্রী নাপসন্দ। তাই অনুষ্ঠানে হাজির থেকেও পুরস্কার তুলে দিতে চাইছেন না মোদি। আর সম্ভবত সেকারণেই নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রী মৃদু শ্লেষে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রীকে।
এবছর রীতি মেনে দেশিকোত্তম পুরস্কারের জন্য বেশ কয়েকজন কৃতী ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।তালিকায় ছিলেন বিগ-বি অমিতাভ বচ্চন, চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরি, কবি গুলজার, লেখক অমিতাভ ঘোষ, শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক সুনীতি কুমার পাঠক, বিজ্ঞানী অশোক সেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘যারা দেশিকোত্তম পাচ্ছেন তারা সবাই রাজনীতির উর্ধ্বে, রাজনীতি করার জায়গা এটা নয়।’ মমতার এই বক্তব্যকে বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
এমনিতে ক্ষমতায় আসার পর চারবছরে এই প্রথমবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে হাজির হচ্ছেন মোদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হওয়া সত্ত্বেও এর আগে ‘সময়ের অভাবে’ কোনও সমাবর্তনে উপস্থিত হতে পারেননি নমো। এবারের অনুষ্ঠানে এলেও, ফের ‘সেই সময়ের অভাব’ই ভোগাচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। অবশ্য আচার্য সময় দিতে না পারায় দেশিকোত্তম প্রদান বাতিল হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। শেষবার এমনটা ঘটেছিল ছয়েক দশকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.