Advertisement
Advertisement
মমতার প্রশাসনিক বৈঠক

জোর করে কাউকে ধর্মান্তরিত নয়, মালদহের ঘটনায় গেরুয়া শিবিরকে কড়া হুঁশিয়ারি মমতার

সরকারি কাজ ঢিমেতালে চলছে দেখে খেপে যান মুখ্যমন্ত্রী।

No conversion can be done by force, Mamata Bannerjee warns VHP
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 13, 2020 4:03 pm
  • Updated:February 13, 2020 4:03 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদিবাসী তরুণীদের ধর্মান্তরিত করে জোর করে হিন্দু মতে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় সপ্তাহ খানেক আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মালদহ।  বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে গিয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর কানে পৌঁছনো মাত্রই সতর্ক হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার পরিস্থিতি ভালভাবে বুঝতে নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরবর্তী সময়ে সভাগুলি থেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। এবার  দুর্গাপুরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করতে গিয়ে ভিএইচপি’র কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই বললেন,  “কোথাও কাউকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা যাবে না।”

এদিন দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে কাজের খতিয়ান দেখে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী থেকে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের একে একে ধরে রীতিমত ভর্ৎসনা করলেন। মমতার কাছে বকা খেলেন বিধায়করাও। জেলায় সংগঠনের অন্তর্দ্বন্দ্ব বন্ধ করতে দিলেন কড়া বার্তা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পার্টি অফিস যখন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বিনামূল্যে পড়ুয়াদের কম্পিউটার শেখাচ্ছে তৃণমূল]

সামনে পুরভোট, তারপর একুশের বিধানসভা। জোড়া নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় কাজের খতিয়ান নিতে শুরু করেছেন প্রশাসনিক বৈঠক। আজ ছিল পশ্চিম বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক। সেখানে কাজের রিপোর্ট দেখে খেপে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। দেখা যায়, প্রচুর কাজ বাকি আছে। কেন এমন পরিস্থিতি, জানতে চাইলে আধিকারিকরা জানান যে কাজের প্রক্রিয়া চলছে। তাতে আরও ক্ষুব্ধ হন মমতা। বলেন, “আমি এলেই কি আপনাদের মনে পড়ে কাজের কথা? তখনই তড়িঘড়ি কাজে হাত লাগান?” এরপরই একে একে প্রতিটি দপ্তরের খোঁজ নিতে থাকেন তিনি।

স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা রোগীদের বিভিন্ন হাসপাতালে অন্যত্র রেফার করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে আলোচনার সময়ে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, কোনও রোগীকে ফেরানো যাবে না। মানবিক হয়ে চিকিৎসা করতে হবে।  যদিও ফের এধরনের অভিযোগ পান, তা খতিয়ে দেখে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দেবে সরকার। শিল্প নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “কোনওরকম অসুবিধা থাকলেও, কোনও শিল্পের কাজ থমকে যাবে না। এ বিষয়ে প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই কাজে এগোতে হবে।” এনিয়ে তিনি মন্ত্রী মলয় ঘটককেও সতর্ক করে দেন। এছাড়া আসানসোলের মতো শুষ্ক জায়গায় জল সরবরাহ স্বাভাবিক করতে ভাল কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা? নিজের বন্দুকের গুলিতে পুলিশকর্মী জখম হওয়ার ঘটনায় ধন্দ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement