ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: টিচার্স রুমে এসি নেই, প্রবল গরমে নাজেহাল অধ্যাপকরা। প্রতিবাদে শেষপর্যন্ত চেয়ার-টেবিল সরিয়ে টিচার্স রুমে মেঝেতেই বসে পড়লেন তাঁরা! ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত কলেজে। অধ্যাপকদের আটকে রাখাই শুধু নয়, খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদেরও কলেজে ঢুকতে বাধা দেন বারাসত কলেজের টিএমসিপি’র সমর্থক ও অশিক্ষক কর্মীরা।
কলেজটি সরকারি, পড়ুয়া সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু বারাসত কলেজের পরিকাঠামো বেহাল। অন্তত তেমনই অভিযোগ অধ্যাপকদের। তাঁদের দাবি, ক্লাসরুমের পাখাগুলি কার্যত ঘোরে না বললেই চলে। ক্লাস নেওয়ার পর টিচার্স রুমে বসে যে বিশ্রাম নেবেন, তারও উপায় নেই। কারণ কলেজের টিচার্স রুমে এসিগুলি দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। বারাসত কলেজের অধ্যাপকদের বক্তব্য, কলেজের অধ্যক্ষের, এমনকী অশিক্ষক কর্মীদের ঘরও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সেখানে প্রয়োজনের থেকেও বেশি সংখ্যায় এসি চলে। অথচ বারবার বলা সত্ত্বেও টিচার্স রুমের এসিটি সরানো নিয়ে কোনও হেলদোল নেই কলেজ কর্তৃপক্ষের। এতদিন বারাসত কলেজের অধ্যাপকরা অধ্যক্ষের ঘরেই বসছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেয়, এখন থেকে আর অধ্যক্ষের ঘরে বসতে পারবেন না অধ্যাপকরা। আর তাতেই শিক্ষকদের ক্ষোভ চরমে পৌঁছায়। চেয়ার-টেবিল সরিয়ে টিচার্স রুমের মেঝেতেই বসে পড়েন বারাসত কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় কলেজে। খবর সংগ্রহ করতে সাংবাদিকরা যখন কলেজে পৌঁছান, তখন গেটের বাইরে রীতিমতো ব্যারিকেড করে তাঁদের ঢুকতে বাধা দেয় কলেজের টিএমসিপি’র সদস্য ও অশিক্ষক কর্মীরা। এমনকী, টিচার্স রুমে আটকে রাখা হয় অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদেরও। শেষ খবর অনুয়ায়ী, এখনও পর্যন্ত বারাসত কলেজের পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত। গেটের বাইরে অশিক্ষক কর্মী ও টিএমসিপি সমর্থকদের বিক্ষোভ চলছে, আর টিচার্স রুমের মেঝেতেই বসে আছেন অধ্যাপকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.