Advertisement
Advertisement

Breaking News

Nirmal Maji

‘আসি যাই, মাইনে পাই সংস্কৃতি চলবে না’, মালদহ মেডিক্যাল থেকে চিকিৎসকদের হুঁশিয়ারি নির্মল মাজির

ফের বিতর্কে জড়ালেন নির্মল মাজি।

Nirmal Maji warns doctors against undesirable office culture | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 9, 2022 7:25 pm
  • Updated:May 9, 2022 7:25 pm  

বাবুল হক, মালদহ: ‘আসি যাই, মাইনে পাই এই কর্মসংস্কৃতি আর চলতে দেওয়া যাবে না।” মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (Malda Medical College & Hospital) পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে এভাবেই সরব হলেন রাজ্য বিধানসভার স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নির্মল মাজি (Nirmal Maji)। শুধু তা-ই নয়, নির্মল মাজির অভিযোগ, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অন্তত দশ শতাংশ চিকিৎসক এখনও ‘সিপিএমের হার্মাদ’ হয়ে রয়েছেন। পরিষেবা বিঘ্নিত করে সরকারের বদনাম করছেন তাঁরাই। তাঁদের চিহ্নিত করে বিধানসভায় শোকজ করা হবে বলেও হুমকি দিলেন তিনি। মালদহ মেডিক‍্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং মেডিক‍্যাল সুপারের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিধায়ক নির্মল মাজি।

নির্মল মাজির কথায়, “মালদহ মেডিক‍্যাল কলেজ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়। এতবড় একটা মেডিক্যাল কলেজ, যেখানে অত্যাধুনিক মানের চিকিৎসা করা হয়। মাতৃমা থেকে ট্রমা কেয়ার, এমআরআই, কলেজের অডিটোরিয়াম-সহ হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এখানে একটা বড় সমস্যা রয়েছে। রাজ্য সরকার বিনে পয়সায় চিকিৎসা পরিসেবা চালু করেছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু পরিসেবা পাচ্ছেন না অসুস্থ রোগীরা। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ থেকে চিকিৎসকেরা ‘আসি যাই মাইনে পাই তে’ বিশ্বাসী। সপ্তাহে তিনদিনের বেশি তাঁরা হাসপাতালে ডিউটি করেন না। বরং বেসরকারি নাসিংহোমে সময় কাটান। এই পরিকল্পনাকে পালটাতে হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘যার সঙ্গে সংঘাতে যেতে হয় যাব’, পাটশিল্প নিয়ে বৈঠকে ডাক না পেয়ে হুঁশিয়ারি অর্জুন সিংয়ের]

নির্মল মাঝির অভিযোগ, মালদহ মেডিক্যালে প্রিন্সিপাল, সুপাররা তিনদিনের বেশি যান না। সিপিএমের ‘হার্মাদ’ কিছু ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসকরা এখানে দীর্ঘদিন ধরে বসে আছেন। তাঁরা পরভূমে রয়েছেন। তাঁর কথায়, “এই সমস্ত ডাক্তারদের আমরা চিহ্নিত করে বিধানসভায় শোকজ করব। এখানে হাসপাতালে ৬ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার, যাঁরা আট ঘণ্টার বাইরে ডিউটি করেন না, যাঁরা হাসপাতালের পাশাপাশি নার্সিংহোমে ডিউটি করছেন। সপ্তাহে পাঁচ দিন তাঁরা আসছেন না‌।‌ প্রিন্সিপাল হোক বা কোনও ডিপার্টমেন্টের প্রধান হোক, যে কোনও বিভাগের ডাক্তার হোক না কেন, জনগণ তাদের ক্ষমা করবেন না। মানুষ মানুষের জন্য। জীবন জীবনের জন্য। একটু সহানুভূতি মানুষ কি পেতে পারেন না? আপনারা সপ্তাহে দু’দিন ডিউটি করে মাসে দেড় লক্ষ টাকা বেতন নিচ্ছেন। কলকাতায় গিয়ে আবার চিকিৎসা করছেন। মালদহ মেডিক‍্যাল কলেজ ‘রোম্যান্স জোন’ হয়ে উঠেছে। কাজ করবে না অথচ সরকারের কাছ থেকে কাছ থেকে মোটা টাকা নেবেন, তারপর আবার কলকাতাতে চারদিন প্র্যাকটিস করবেন, এই জিনিস বাংলার মানুষ বরদাস্ত করবেন না।”

রবিবার রাতে মালদহে এসে মেডিক‍্যাল কলেজ হাসপাতালের অডিটোরিয়ামের তৃতীয় তলে ওয়েস্টবেঙ্গল প্রোগ্রেসিভ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার তৃতীয় সম্মেলনে এমনই তীব্র ভাষায় ডাক্তার এবং কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশাসনিক কর্তাদের সমালোচনা করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান নির্মল মাজি। রবিবার সন্ধ্যায় ঝটিকা সফরে গিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের অসহায় অবস্থা দেখেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রিন্সিপাল থেকে সুপার, এমনকি কোনও বিভাগের মুখ্য চিকিৎসকদের তিনি দেখতে পাননি। জুনিয়ার চিকিৎসকরাই হাসপাতাল চালাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু কার্যত এড়িয়ে গেছেন। তবে বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি পার্থ সারথি ঘোষ বলেন, “মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের ভীতি প্রদর্শনের জন্য এমন বলেছেন। রাজ‍্যের কোনও হাসপাতালেই পরিষেবা পান না বাংলার মানুষ। এটা সবাই জানেন।” মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার পুরঞ্জয় সাহা বলেন, “এই বিষয়ে আমি কিছু বলব না।”

[আরও পড়ুন: ‘নোবেল দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে অপমান’, রবীন্দ্রজয়ন্তীতে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement