Advertisement
Advertisement

Breaking News

অসম্পূর্ণ অধিকাংশ শৌচালয়, বিপাকে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্প

ক্ষোভ জমছে দুর্গাপুর পুর নিগমের বাসিন্দাদের মনে৷

 Nirmal Bangla lagging in Durgapur
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 27, 2018 8:17 pm
  • Updated:November 27, 2018 8:17 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: কোথাও দরজা নেই, তো কোথাও শৌচকর্মের প্যানটাও বসেনি৷ কোথাও নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হয়নি, আবার কোথাও লজ্জা নিবারণের ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকুও নেই৷ দুর্গাপুর নগর নিগম এলাকায় এভাবেই এগিয়ে চলেছে ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে শৌচাগার নির্মাণের কাজ৷ বর্তমানে পুরনিগমের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড৷ কিন্তু, তাঁরাই গাফিলতির অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পূর্ববর্তী পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে৷ সরকারি প্রকল্পে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারাও৷ 

[এবার অযোধ্যা পাহাড়ের পর্যটনে জোর মুখ্যমন্ত্রীর]

Advertisement

জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর পুর নিগমের অন্তর্গত ৪৩টি ওয়ার্ডে ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্পে মোট ২৮৪৭টি শৌচালয় নির্মাণের কাজ শুরু হয়৷ কিন্তু এখনও অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে ২০৬১টি শৌচালয় নির্মাণের কাজ৷ অভিযোগ, নির্মিত শৌচালয়গুলির অধিকাংশতেই না রয়েছে দরজা, না রয়েছে শৌচকর্মের প্যান৷ কিন্তু উপভোক্তার কাছ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আদায় করে নিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা৷ অথচ সরকারি খাতায় অসম্পূর্ণ শৌচালয়ের বিষয়ে কোনও অভিযোগ নেই৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তামলা গ্রামেই রয়েছে এমন প্রায় ১১টি অসম্পূর্ণ শৌচালয়৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, চারবছর আগে শৌচালয় নির্মাণের জন্য ঠিকাদারদের হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু শৌচালয় নির্মাণের নির্দিষ্ট সময় পেড়িয়ে যাওয়ার পরেও শৌচালয় হাতে পাননি তাঁরা৷ কাউন্সিলর, মেয়রকে অভিযোগ জানালেও কাজের কাজ তেমন হয়নি বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা৷

[পায়রা চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু, এলাকায় উত্তেজনা]

এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন দুর্গাপুর পুর নিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) রাখি তিওয়ারি৷ তিনি বলেন, “বেশকিছু ওয়ার্ড থেকেই এমন অভিযোগ পেয়েছি৷ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের নিয়ে শীঘ্রই বৈঠকে বসা হবে৷” অসম্পূর্ণ শৌচালয়ের কাজ শেষ না করলে ঠিকাদারদের বিরু‌দ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান রাখি তিওয়ারি৷ এই বিষয়ে মেয়রের কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মণি সোরেন৷ এই অব্যবস্থার জন্যে পূর্বতন তৃণমূল বোর্ডের উপরই দোষ চাপিয়েছেন বর্তমান মেয়র দিলীপ অগস্তি৷

ছবি: উদয়ন গুহ রায়

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement