বাবুল হক, মালদহ: মাত্র দু’টাকা কেজি দরেও বিকোচ্ছে না মালদহের আম! নিপা ভাইরাসের আতঙ্কই আমের প্রতি মানুষের অনীহার কারণ বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে আবার গরমের দাপটে দু’দিনেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফল। তাই বাধ্য হয়ে মহানন্দ নদীতে কুইন্টাল কুইন্টাল আম ফেলে দিয়েছেন মালদহের আমচাষীরা।
[স্বস্তির বর্ষায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচল রাজ্যবাসী, ধীরে চলছে ট্রেন-বাস]
স্বাদে ও গন্ধে মালদহের আম বিখ্যাত। গরম পড়তেই বাজারে আমের পসরা নিয়ে বসে পড়েছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, খদ্দেরের দেখা নেই। মাত্র পাঁচ টাকা, এমনকী, দু’টাকা কেজি দরেও কেউ আর আম কিনে চাইছেন না! এমনকী, গরুকেও নাকি আম খাওয়াতে পারেননি। দাবি পুরাতন মালদহের সাহাপুরের আম ব্যবসায়ী দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, ‘এবার আম ব্যবসায় ২৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র তিন লক্ষ টাকা উঠে এসেছে। ভিনরাজ্যের পাইকাররাও এবার আম কিনতে মালদহে আসেননি। প্রচণ্ড গরমে গাছে নষ্ট হচ্ছে ফল। নদীতে ফেলে দিচ্ছি আমরা।’
কিন্তু, আমের প্রতি এই অনীহার কারণটা কী? ভাগাড় কাণ্ডের আতঙ্কে একসময়ে মাংস খাওয়া ছেড়েছিলেন রাজ্যবাসী। কেরলের নিপা ভাইরাসে সংক্রমণও এ রাজ্যে কম আতঙ্ক ছড়ায়নি। মালদহের আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের একাংশের মত, নিপা সংক্রমণের ভয়েই আম খেতে চাইছেন না কেউ। এক্ষেত্রে মালদহে আম চাষে রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারের বিষয়টিও ভাবাচ্ছে ক্রেতাদের। ফলে জেলার আম ব্যবসায়ী ও আমচাষিদের। মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তার আশঙ্কা, ‘হিমসাগর, ল্যাংড়া জাতের আম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হত। এবার মাত্র ৫ টাকা কেজি দরেও সেই আম বিক্রি হচ্ছে না। গত বছর জেলায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। এবার ১ হাজার কোটি টাকারও ব্যবসা হবে না।‘ এ বছর মালদহে আমের ফলন প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টনের মতো বলে জানা গিয়েছে। জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের সহকারী অধিকর্তা রাহুল চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, ‘অধিক ফলনেই বিপত্তি ঘটেছে। গরমে আম কিছু নষ্টও হয়ে গিয়েছে।‘
ছবি: হরেন চৌধুরী
[বাপরে বাপ! বাড়ির ভিতর একটি গর্ত থেকেই বেরোল ১৯টি গোখরো সাপ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.