শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: ১৬ দিনের বন্দিদশা কাটিয়ে মুক্তি। শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন কালিম্পংয়ের ৯ জন বাসিন্দা। তাঁদের কারও শরীরে করোনার জীবাণু বাসা বাঁধেনি, সোয়াব টেস্টের পর সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই তাঁদের ছাড়া হয়েছে বলে খবর। ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে নববর্ষের সকালে বাড়ি ফেরার সময় জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপার নেতৃত্বে করতালি দিয়ে এঁদের শুভেচ্ছা জানান উপস্থিত জনতা।
এও যেন একরকমের লড়াই। জ্বর, সর্দিকাশি, শ্বাসকষ্ট – এই তিন উপসর্গ থাকলে অথবা করোনা আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে আসার খবর পেলেই ঠাঁই হচ্ছে সোজা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। সেভাবেই কালিম্পংয়ের মোট ১৪ জনকে আনা হয়েছিল শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে, যা অধিগ্রহণ করে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি হয়েছে। এঁদের মধ্যে কেউ বাইরের বাসিন্দা, আবার কেউ ছিলেন কালিম্পংয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত মহিলার পরিবারের সদস্য। টানা ১৬ দিন ধরে তাঁরা কোয়ারেন্টাইনে ঘরবন্দি ছিলেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ের পর তাঁদের সোয়াব টেস্ট করে রিপোর্ট সন্তোষজনক আসায় তাঁদের নববর্ষের সকালেই ছেড়ে দেওয়া হল। এবার তাঁরা বাড়ির স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে ফিরলেন এই ন জন। বাকি ৫ জনকেও শিগগিরই ছেড়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়াও শিলিগুড়িতে আরও দুটি বেসরকারি নার্সিংহোম অধিগ্রহণ করা হয়েছে COVID হাসপাতাল তৈরির জন্য। পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে কাওয়াখালির একটি নার্সিংহোমে। সেখানে ৪২ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রোগীদের স্থানান্তর করার কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর। এর আগে শিলিগুড়ির প্রাণকেন্দ্র প্রধাননগরের একটি হাসপাতালকে এই চিকিৎসার জন্য অধিগ্রহণ করা হলেও, স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তিতে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে কাওয়াখালির এই নার্সিংহোমটি নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মাটিগাড়ার কাছে আরেকটি হাসপাতালেও করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এরা সকলেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মডেল অনুসরণ করবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.