সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিমতিতা বিস্ফোরণ কাণ্ডে সুতির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইমানি বিশ্বাসকে জেরা NIA’র। বৃহস্পতিবার তাঁকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাটির গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনের সঙ্গে ইমানি বিশ্বাসের গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব রয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন, পুরনো শত্রুতার জেরেই মন্ত্রী জাকির হোসেনকে খুনের ছক কষা হয়েছিল। পরিকল্পনামাফিক তৈরি করা হয়েছিল বোমা। ঘটনার নেপথ্যে আর কে বা কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। বলে রাখা ভাল, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কলকাতা আসার জন্য ট্রেন ধরতে নিমতিতা স্টেশনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। সেখানে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ কমপক্ষে ২৩ জন। মন্ত্রীর হাতের একটি আঙুল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা জানতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডি, বম্ব স্কোয়াড, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাস্থলে যান অনুজ শর্মাও।
এদিকে, নিমতিতা কাণ্ডে কয়েকদিন আগেই এক বাংলাদেশি যুবককে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। পরে আবু সামাদ ও সইদুল ইসলাম নামে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুতির বাসিন্দা সইদুলকে জেরা করেই চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে দাবি করে সিআইডি। তদন্তকারী সূত্রে খবর, ধৃত সইদুল দীর্ঘদিন ধরেই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। বোমা তৈরিতে পারদর্শী সে। খোদ জাকির হোসেন (Jakir Hossain) একাধিকবার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সেই কারণে সুতির বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ সময়ই ভিন রাজ্যে কাটাতে হতো তাকে। সেই কারণে তৈরি হয়েছিল আক্রোশ। এরপরই জাকির হোসেনকে খুনের ছক কষে সে। তৈরি করে বোমা। নির্দিষ্ট সময়ে তা ব্যাগে ভরে পৌঁছে দেয় নিমতিতা স্টেশনে। মন্ত্রীকে হত্যার জন্য বোমা তৈরিতে কে সাহায্য করেছিল সইদুলকে? বোমা তৈরি থেকে তা স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া, গোটা ঘটনায় কে বা কারা সহযোগিতা করেছে ধৃতকে? এর পিছনে কোনও জঙ্গি সংগঠন রয়েছে কি না, এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সিআইডি আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.