সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করল নিমতা হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত প্রিন্স? মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হলেও, এই তথ্য ছিল অধরা। তবে একটানা পুলিশি জেরায় নিজেই সেকথা স্বীকার করে নিল দেবাঞ্জন দাস হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। প্রিন্স জানায়, তার বাবার জুয়া-সাট্টার কারবার রয়েছে। তাই তার যোগাযোগ ছিল নানা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে। সে সূত্রেই অনায়াসে সে জোগাড় করেছিল আগ্নেয়াস্ত্র। আর ওই বন্দুক দিয়েই দেবাঞ্জনকে খুন করেছিল প্রিন্স।
নবমীর রাতে সল্টলেকের একটি পাবে বন্ধুবান্ধবদের পার্টি করে দেবাঞ্জন দাস। সঙ্গে ছিল তাঁর বান্ধবী তৃষাও। ওই রাতেই খুন হতে হয় দেবাঞ্জনকে। এই ঘটনার নানা টালবাহানার পর খুনের মামলা রুজু করে নিমতা থানার পুলিশ। বেশ কয়েকদিন জেরা করার পর পুলিশ নিমতাকাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তার করে দেবাঞ্জনের বন্ধু বিশাল মারু। দীর্ঘক্ষণ জেরার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিশালকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর পুলিশের জালে ধরা পড়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকা প্রিন্স সিংকে। বজবজের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীদের নজর এড়াতে ভোলবদল করে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। তবে তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। তদন্তে উঠে আসে দেবাঞ্জনের প্রেমিকা তৃষার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল প্রিন্সের। এরপরই তৃষার জীবনে আসে দেবাঞ্জন। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন হতে হয় দেবাঞ্জন। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে দেবাঞ্জনকে খুন করে প্রিন্স। ঘটনার কিনারায় ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রিন্সকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রিন্সকে জেরা করে তার বাবা সম্পর্কে নানা তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, প্রিন্সের বাবা প্রদীপ সিংয়ের দমদম চত্বরে একাধিক জুয়া, সাট্টার ঠেক রয়েছে। ওই ঠেকে অশান্তি সামাল দিতে নানা দুষ্কৃতীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল প্রিন্সের বাবা এবং প্রিন্সের। তাই ওই দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে অনায়াসে আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেছিল দেবাঞ্জন খুনে মূল অভিযুক্ত প্রিন্স। তবে বন্ধুকে খুনের আগে আর কোনও অপরাধের রেকর্ড প্রিন্সের নেই বলেই পুলিশসূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.