জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: বাদুড়িয়া থেকে ধৃত লস্কর-ই-তইবা (LeT) সদস্য তানিয়া পরভিনকে আগেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে NIA। এবার তার বাড়িতে তল্লাশি চালালেন তদন্তকারীরা। বুধবার রাতে প্রায় ঘণ্টাদেড়েক ধরে তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যবহৃত ডায়েরি এবং বইপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও কোন কোনও প্রতিবেশীর সঙ্গে তানিয়ার ঘনিষ্ঠতা ছিল, সে বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হয়।
বুধবার রাতে কড়া নিরাপত্তায় তানিয়াকে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সল্টলেক এনআইএ’র পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরের আধিকারিকরা তার গ্রামের বাড়ির সিল করা কয়েকটি ঘরে জোর তল্লাশি চালান। তাতেই বেশ কয়েকটি ডায়েরি ও বইপত্র উদ্ধার হয়। তানিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা। তানিয়ার সঙ্গে কোন কোন প্রতিবেশীর বেশি মেলামেশা ছিল, তা নিয়েও খোঁজখবর নেন আধিকারিকরা। কারাই বা তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করত, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তানিয়া আরবি ভাষা নিয়ে কলকাতার এক কলেজে পড়াশোনা করত। ছোট থেকেই মেধাবি বলেই পরিচিত সে। আর সেই মেধাকেই হাতিয়ার করে লস্কর-ই-তইবা। তাদের কলকাতা মডিউলের সদস্য ছিল তানিয়া। একদিকে মেধাবি কলেজ পড়ুয়াদের মগজধোলাই করে দলে টানা আর অন্যদিকে হানিট্র্যাপের মাধ্যমে সেনার তথ্য জোগাড়। দু’টি কাজেই পারদর্শী ছিল বাদুড়িয়ার মেয়ে তানিয়া পরভিন। সম্প্রতি, রাজস্থানে একটি হানিট্র্যাপের পর্দাফাঁস হয়। তারপরই কোমর বেঁধে নামে এনআইএ। সূত্রের খবর, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেনার তথ্য হাতাতে এই পথই বেছে নিয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। আর এই হানিট্র্যাপের অন্যতম দুঁদে সদস্য তানিয়া। বেশ কয়েকদিন আগে তানিয়াকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এনআইএ। বাদুড়িয়ার বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় ওই কলেজ ছাত্রীকে। তার গোপন কীর্তিকলাপ জানতে মরিয়া এনআইএ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, কলেজ পড়ুয়া তানিয়ার একাধিক জায়গায় অবাধে মেলামেশা ছিল। অত্যন্ত টেকস্যাভিও ছিল সে। ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে অন্যান্য কলেজ পড়ুয়াদের নিয়োগ করা ছিল জলভাত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.