কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। তবু পুরনো প্রেমিকাকে বিয়ে করে এনেছিলেন। কেন প্রথম স্ত্রীকে ছাড়ছেন না স্বামী, তা নিয়েই বচসা শুরু হয় দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে। শেষে ক্ষোভের বশে ব্লেড দিয়ে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে দিলেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় জিনারুল শেখ নামে যুবক মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থানার গজেপাড়া এলাকায়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ইসলামপুরের গোয়াস এলাকার বাসিন্দা পেশায় দলিল লেখক জিনারুল শেখ আড়াই বছর আগে বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর একটি সন্তান হওয়ার পরও পুরনো প্রেমিকাকে ভুলতে পারেননি জিনারুল। মাসকয়েক আগে সেই প্রেমিকাকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর দ্বিতীয় স্ত্রী জিনারুলকে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। প্রথম পক্ষের স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে গেলে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সার্জিনাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন জিনারুল। তার পর থেকেই শুরু হয় সম্পর্কের অবনতি। স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাপের বাড়ি চলে যান সার্জিনা বিবি। জানা গিয়েছে, রবিবার স্বামীকে বাপের বাড়িতে আসতে বলেন সার্জিনা বিবি।
বেলা দশটা নাগাদ শ্বশুরবাড়িতে বিছানায় শুয়ে ছিলেন জিনারুল শেখ। সেই সময় তাঁর স্ত্রী কথা বলতে বলতে হঠাৎ ব্লেড দিয়ে স্বামীর যৌনাঙ্গ কেটে দেন বলে অভিযোগ। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে শুরু করেন ওই যুবক। এলাকার লোক ছুটে এসে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এদিন জিনারুল শেখ বলেন, তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর একটি সন্তান রয়েছে। সেই স্ত্রীকে তিনি ছাড়তে চান না। অথচ দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সার্জিনা ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদে সম্মত না হওয়ায় তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জিনারুল শেখ।
জিনারুল জানান, “ব্লেডের আঘাতে আমার অর্ধেক যৌনাঙ্গ কেটে দিয়েছে। খুব যন্ত্রণা হচ্ছে। ওই স্ত্রীকে আর ঘরে তুলব না। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গেই থাকব।” এদিকে ওই ঘটনায় জিনারুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় যুবক বাবর আলি। তিনি বলেন, “নতুন স্ত্রীকে ঠিকঠাক সময় দিতে পারছিল না বলে ওই ঘটনা ঘটেছে। তবে অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ।” ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্ত্রীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.