শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ফের কাঠগড়ায় জলপাইগুড়ির সরকারি হাসপাতাল। এবার শিশু মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রকাশ্যে এসেছে হাসপাতালের অব্যবস্থার ছবি। অভিযোগ, হাসপাতালের দুটি বিছানা একসঙ্গে জুড়ে ৩ শিশু ও তাদের মায়েদের রাখা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখানেই ২ শিশুর চাপে মৃত্যু হয় এক সদ্যোজাতের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে।
[আরও পড়ুন: কীর্তন থামিয়ে নির্বাচনী প্রচার, ক্ষোভের মুখে বিজেপি প্রার্থী আলুওয়ালিয়া]
জলপাইগুড়ির শিল্পসমিতি পাড়ার বাসিন্দা দেবযানী দাস। জানা গিয়েছে, গত ১৭ই এপ্রিল ওই মহিলা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভরতি হন। সেদিনই একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন দেবযানী দেবী। এরপর শুক্রবার দেবযানী ও তার সন্তানকে একটি বেডে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, জোড়া দেওয়া শয্যায় আগে থেকে দু’জন মা ও তাঁদের সন্তানদের রাখা হয়েছিল। ওই একই বেডে দেবযানী ও তার শিশুকন্যার থাকার ব্যবস্থা করা হয়৷ শনিবার ভোর পর্যন্ত সন্তানকে নিয়ে সেখানেই ছিলেন দেবযানী দেবী। অভিযোগ, শনিবার সকালে দেবযানী দেবী টের পান তাঁর সন্তান ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। এরপর চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুকন্যার।
খবর প্রকাশ্যে আসতেই হাসপাতালের বাইরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা। এরপরই হাসপাতালের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও কোতোয়ালি থানার দ্বারস্থ হন মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগ, দুই শিশুর মাঝে পড়ে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই সদ্যোজাতের। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তবে, এবিষয়ে মুখ খোলেনি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব কর্তৃপক্ষ। প্রসূতি মা ও শিশুদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহু প্রত্যাশিত মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবের এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। শুরু হয়েছে সমালোচনাও৷ জলপাইগুড়ির এই ঘটনায় প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেবে বলে মনে করছে দলের একাংশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.