Advertisement
Advertisement

Breaking News

হাতির হামলা রুখতে দমকলের ধাঁচে বিশেষ গাড়ি আনছে বনদপ্তর

হাতি তাড়ানোর কাজে তৈরি হচ্ছে Rapid Response Force।

New vehicles for West Bengal forest department to reign marauding jumbos
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 7, 2017 7:23 am
  • Updated:February 7, 2017 7:23 am  

ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি : উত্তরবঙ্গ হোক বা দক্ষিণবঙ্গ, হাতির দাপটে সর্বত্রই ত্রস্ত এলাকার মানুষ। লোকালয়ে সে কী দাপাদাপি! কখনও জমির ধান সাবাড় করে দিচ্ছে। আবার কখনও পায়ের তলায় পিষে মুহূর্তে নিথর করে দিচ্ছে টাটকা প্রাণ। লোকালয়ে ঢুকে পড়া হাতি তাড়াতে এবার দমকলের ধাঁচে গাড়ি বের করছে বন দফতরের৷ আগুন লাগলে যেমন ঘণ্টা বাজিয়ে ছুটে যায় দমকলের গাড়ি। লোকালয়ে হাতির হামলার খবর এলেই সাইরেন বাজিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে বন দফতরের ওই বিশেষ গাড়ি৷ হাতি তাড়ানোর কাজে তৈরি হচ্ছে Rapid Response Force। অনেকটা পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমের মতোই কাজ করবে তারা।

চুরি গেল কৈলাশ সত্যার্থীর নোবেল পদক

বনমন্ত্রী বিনয় বর্মন জানিয়েছেন, হাতি তাড়ানোর জন্য রাজ্যে আপাতত পাঁচটি গাড়ি নামানো হচ্ছে৷ এর মধ্যে দু’টি গাড়ি থাকবে উত্তরবঙ্গে। একটি শিলিগুড়ির সুকনায়, অন্যটি ডুয়ার্সের বীরপাড়ায়। বাকি তিনটি গাড়ির একটি থাকবে কলকাতায়, একটি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে, একটি খড়গপুরে। Rapid Response Force-এ থাকবেন ৫৫ জন কর্মী। এক একটি গাড়ির জন্য খরচ হবে ১২-১৩ লক্ষ টাকা৷ এখন লোকালয়ে হাতির হামলার খবর এলে ডিউটি ফেলে ছুটতে হয় বনকর্মীদের। তাঁদের পৌঁছনোর আগেই কাজ সেরে ফেলে দামাল দাঁতাল দল। কিন্তু Rapid Response Force-এর কাজ যেহেতু শুধু হাতি তাড়ানোই, সবসময় এই কাজের জন্য প্রস্তুত থাকবে তারা। প্রতিটি গাড়িতে মাইক থাকবে৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাইকিং করে এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করবেন বনকর্মীরা৷ প্রতিটি গাড়িতে ১১ জন প্রশিক্ষিত বনকর্মী থাকবেন৷ এর মধ্যে একজন রেঞ্জার, দু’জন বিট অফিসার, ছ’জন ফরেস্ট গার্ড। সঙ্গে থাকবেন একজন পশু চিকিৎসকও। অনেক সময় তান্ডব চালাতে গিয়ে বন্যপ্রাণী জখম হয়৷ কিংবা ঘুমপাড়ানি গুলি করার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসার দরকার হয়। এক্ষেত্রে পশুচিকিৎসক আসা অবধি অপেক্ষা করা ঝুঁকির।

Advertisement

রাত-বিরেতেও হাতি তাড়ানোর কাজে যেন কোনও বাধা না পড়ে, গাড়িটিতে থাকছে জেনারেটর। জ্বলবে সার্চ লাইটও। এমনভাবে লাইটটি লাগানো হবে যাতে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে আলো দিতে পারে৷ দমকলের ইঞ্জিনের মতো বন দফতরের এই গাড়িতেও থাকছে ২৫-৩০ লিটার জল ধরে এমন ট্যাঙ্ক৷ হাতি, গন্ডার, বাইসনের মতো বন্যপ্রাণীদের বাগে আনতে ঘুমপাড়ানি গুলি করতে হয়৷ এতে তাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়৷ তখন দ্রূত জল ছিটিয়ে বুনোটির শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয়ে পড়ে৷ বন্যপ্রাণীকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে গাড়িতে তোলার সময় যেন সে আঘাত না পায়। তাই রাখা হচ্ছে চার ইঞ্চি চওড়া ফিতের বেল্ট৷

নগ্ন মহিলারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন হোমের বারান্দায়, উদাসীন কর্তৃপক্ষ

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement