সুব্রত বিশ্বাস: ১৬০ কিলোমিটার গতির ট্রেন চলছে দেশের অধিকাংশ জায়গায়। ফলে সুরক্ষার খামতি রাখা চলবে না। দেশজুড়ে লাইনের পাশে বসানো হচ্ছে স্টিলের ‘সেফটি ফেন্সিং’। একেবারে ডব্লু বিম মেটাল টাইপের ফেন্সিং লাগানোর কাজ চলছে। হাওড়া ডিভিশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের জন্য ইতিমধ্যে হাওড়া থেকে খানার মধ্যে এধরনের সেফটি ফেন্সিং বসানোর কাজ প্রায় শেষ। হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, এখন ট্রেনের গতি বাড়ছে। এবার ১৩০ কিলোমিটার গতির লাইনগুলোতেও এই ধরণের ফেন্সিং বসানো হবে। এবার সাঁইথিয়া-রামপুরহাট-গুমানি পর্যন্ত এই ধরণের ফেন্সিং বসানো হবে।
ট্রেনের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গতিরও পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতকাল সর্বোচ্চ গতির ট্রেন ছিল রাজধানী এক্সপ্রেস। তার গতি ছিল ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এবার ১৬০ কিলোমিটার গতির ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে ৫১টি। ১৬ বগির সতেরোটি ও আট বগির চৌত্রিশটি বন্দে ভারত চলছে। হাওড়া থেকে এনজেপি, পুরী, পাটনা ও রাঁচি পর্যন্ত এখন চলছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ফলে এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাওড়া-রামপুরহাট, হাওড়া-খড়গপুর প্রভৃতি শাখা।
এই ফেন্সিং মূলত গবাদি পশুর নিরাপত্তার জন্য। হঠাৎ লাইনে এই গরু, মোষ চলে এলে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ফলে পশুর মৃত্যু যেমন হয়। তেমনই ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রেনও। এর পর ট্রেন আটকে পড়ায় গন্তব্যে সময়ে পৌঁছতে পারে না। এই বিষয়গুলি এড়াতেই এখন সেফটি ফেন্সিং অত্যন্ত জরুরি। পশুদের নিরাপত্তায় এখন দেশের প্রায় ২০ শতাংশ রেল লাইন ধারে এমন ফেন্সিং দেওয়া হয়েছে। যা প্রায় চার হাজার কিলোমিটারের মতো বলে জানা গিয়েছে। আগে লাইনের ধারে আড়াআড়ি পিলারে লাগানো হত। এর পরে তা রক্ষণাবেক্ষণে অসুবিধার কারণে পর পর লোহার চওড়া প্লেট বসিয়ে ফেন্সিং করা হত। এখন তারও পরিবর্তন করা হয়েছে ডব্লু বিম মেটাল টাইপ ফেন্সিং দেওয়া হচ্ছে। মূলত খরচ কম ও মজবুত। পাশপাশি এই ফেন্সিং এমনভাবে দেওয়া হয়, যাতে লাইনের উপর গরু, মোষ চলে না আসতে পারে। তবে তার উপর নিচ দিয়ে প্রয়োজনে মানুষজন বেরিয়ে যেতে পারবে। ফলে বিপজ্জনক কোনও কিছু এড়ানোও সম্ভব হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.