শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ফিরোজ আলির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নতুন মোড় নিল চোপড়া কাণ্ড। কারণ, রিপোর্ট অনুযায়ী বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। তবে কি বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে চোপড়া কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত? নাকি পরিকল্পনামাফিকই খুন করা হয়েছে তাকে? এ বিষয়ে এখনও কোনও তথ্যই দেয়নি পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানিয়েছেন ইসলামপুরের পুলিশ সুপার শচিন মক্কার (Sachin Makkar)।
ঘটনার সূত্রপাত দিন তিনেক আগে। সোমবার ভোরে চোপড়ার সোনাপুরের চোচড়াগঞ্জ এলাকায় অচৈতন্য অবস্থায় মিলেছিল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল কিশোরী। এরপরই ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে মৃতার পরিবারের সদস্যরা। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয় বিজেপি। এই ঘটনার পরেরদিনই এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ধর্ষণের ঘটনার মূল অভিযুক্ত ফিরোজ আলির দেহ। এরপরই যুবককে খুনের অভিযোগে মৃত কিশোরীর বাবা ও দুই দাদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে তাদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এপর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও গোল বাঁধল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসতেই। কারণ, ফিরোজ আলির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে সাফ উল্লেখ রয়েছে বিষক্রিয়ার। তবে ঠিক কী হয়েছিল ওই দিন? প্রমাণ লোপাটের জন্যই কি বিষ খাইয়ে খুন? নাকি আত্মঘাতী হয়েছে ওই যুবক? সেক্ষেত্রে কারণ কী? এহেন একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মনে। তবে এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন। যদিও এখনও হাতে মেলেনি কেমিক্যাল রিপোর্ট। সেটি পেলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.