সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: আলিপুর চিড়িয়াখানা বাঘেদের বংশবৃদ্ধির ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ নিয়ে যাচ্ছে শিলিগুড়ির স্নেহাশিস। সেখানে রয়্যাল বেঙ্গল পরিবারের সংখ্যাবৃদ্ধিতে ভরসা শিলিগুড়ির স্নেহাশিস। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কের বাসিন্দা স্নেহাশিস ইতিমধ্যেই এখানে তিনটি শাবকের জন্ম দিয়ে নিজের পৌরুষের প্রমাণ রেখেছে। ফলে ব্যাঘ্র সমাজে তার কদর বেড়ে গিয়েছে কয়েক গুণ। তার কৃতিত্বের বার্তা পৌঁছেছে সুদূর কলকাতাতেও। আর সে কারণেই সেখানে বাঘেদের বংশবৃদ্ধির ভারসাম্য রক্ষা করতে স্নেহাশিসকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। স্নেহাশিসকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ জু অথরিটির সদস্য সচিব বিনোদ যাদব জানিয়েছেন, পরীক্ষিত হওয়ায় স্নেহাশিসকেই বেছে নেওয়া হয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানায় শার্দূলকুলের বংশবৃদ্ধিতে। বেঙ্গল সাফারির অধিকর্তা রাজেন্দ্র জাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
[উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে বন্ধুর স্ত্রীয়ের সঙ্গে সঙ্গম, তারপর…]
আলিপুর চিড়িয়াখানায় বর্তমানে সাতটি রয়্যাল বেঙ্গল রয়েছে। সেখানে চারটি পুরুষ এবং তিনটি স্ত্রী বাঘ রয়েছে। পুরুষ বাঘেরা প্রত্যেকেই ১২ বছরের বেশি বয়সি। ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বয়সের পর বাঘেরা প্রজননে অক্ষম হয়ে পড়ে। ফলে কোনও ঝুঁকি না নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে স্নেহাশিসকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্নেহাশিসের বয়স এখন পাঁচ। তাছাড়া চলতি বছরেই তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে সে। ফলে তার সামর্থকেই কাজে লাগাতে চাওয়া হয়েছে। তবে প্রজননের ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ শেষ হলেই তাকে আবার বেঙ্গল সাফারিতেই ফিরিয়ে নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে বেঙ্গল সাফারিতে স্নেহাশিস ছাড়াও বিভান নামে অপর একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ রয়্যাল বেঙ্গল রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বাঘিনী শীলা। আপাতত সে তার দুই কন্যাসন্তানকে নিয়ে ব্যস্ত। কিছুদিন আগে তিনটি কন্যা শাবক জন্ম দিলেও একটি মারা যায়। বাকি দু’টি অবশ্য সুস্থই রয়েছে।
[বিশ্বাস করি না জঙ্গলমহলে কেউ খেতে পায় না, মন্তব্য মমতার]
শীলা ও স্নেহাশিসকে ওড়িশার নন্দনকানন থেকে আনা হয়েছিল আড়াই বছর আগে ২০১৬-তে। ২০১৭-এর ডিসেম্বর বিভানকে আনা হয়েছে জামশেদপুর থেকে। নতুন অ্যাসাইনমেন্টে যাওয়ার আগে অবশ্য স্নেহাশিস এখন বিশেষ খাতির পাচ্ছে। তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে তার গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে। যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.