Advertisement
Advertisement
খুন

খুন হওয়ার আগে প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটিয়েছিল রাজেশ, নদিয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য

খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ।

New information on nadia youth murder case, investigation underway
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 11, 2019 8:19 pm
  • Updated:September 11, 2019 8:20 pm  

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: নদিয়ার হোগলবেড়িয়ার যুবক খুনের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে দীর্ঘক্ষণ প্রেমিকার সঙ্গেই ছিল মৃত রাজেশ। এমনকী রাতেও বাড়ি ফেরেনি ওই যুগল। তবে কী প্রেমিকার সামনেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে রাজেশকে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে।

[আরও পড়ুন: স্কুলের ট্যাঙ্কে মিলল মরা টিকটিকি, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধান শিক্ষক]

সোমবার বিকেলে নদিয়ার হোগলাবেড়িয়ার জামশেরপুরের বাড়ি থেকে বের হন বছর পঁচিশের রাজেশ রায়। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি তিনি। এরই মধ্যে একাধিকবার রাজেশের খোঁজে তাঁর বাড়িতে যায় প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরা। পরে ভোরে প্রেমিকার পরিবার রাজেশের মাকে জানায়, তারা খুন করে করেছে তাঁর সন্তানকে। অভিযুক্তদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই উদ্ধার হয় রাজেশের দেহ। এরপরই মৃতের প্রেমিকা ও তার বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই একের পর এক চাঞ্চল্য কর তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।

Advertisement

জেরার মুখে প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছে, সোমবারও পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাজেশের সঙ্গে দেখা করেছিল সে। দীর্ঘক্ষণ একসঙ্গে ছিল তারা। এলাকার একটি পানের বরজে একান্ত সময় কাটায় তারা। এরপর রাতের দিকে রাজেশকে বাড়ি ফিরে যেতে বলে প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু যেতে চায়নি সে। আর ঘটনাচক্রে সেদিন গৃহশিক্ষক বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দেন যে পড়তে সে। কিন্তু এরপর কি হল তা আর বলছে না প্রিয়াঙ্কা। তবে কি প্রেমিকের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেছিল পরিবার? প্রিয়াঙ্কার সামনেই কি খুন করা হয়েছে রাজেশকে? যে ওড়নায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছিল রাজেশ, সেটা কি তবে প্রিয়াঙ্কার? এই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।

[আরও পড়ুন: স্কুলের ট্যাঙ্কে মিলল মরা টিকটিকি, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধান শিক্ষক]

জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা ও তার বাবা-মাকে আদালতে তোলা হলে কিশোরীকে হোমে পাঠানো হয়েছে। তার বাবা-মাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগ, তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে পরিবারের অন্যান্যরা। রাজেশের বন্ধুরা জানিয়েছে, কেরল থেকে ফেরার পর থেকেই ফোন এলে সরে যেতেন রাজেশ। কারও সঙ্গে সারাদিন হোয়াটস অ্যাপে কথা বলতেন। কিন্তু জিজ্ঞেস করলে কিছুই বলতেন না। কিন্তু কেন খুন করা হল রাজেশকে তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না তারাও। প্রশ্ন উঠছে, যদি আর্থিক পরিস্থিতির কারণেই রাজেশের সঙ্গে সম্পর্ক মানতে অস্বীকার করে থাকে প্রিয়াঙ্কার পরিবার, সেক্ষেত্রে খুনের সিদ্ধান্ত কেন? 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement